ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে বিপুল পরিমাণ কাবিখা’র সরকারি চালসহ ট্রাক ও চালককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত চালের পরিমাণ আনুমানিক ২০ মে.টন অর্থাৎ প্রায় ৬৬০ বস্তা। আটকের দীর্ঘ সময় পর চালসহ ট্রাকটিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
কোঁটচাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল বিক্রির জন্য জীবননগর নেয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মহেশপুর উপজেলার (জীবননগর সীমান্ত সংলগ্ন) তুষার সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির সামনে অভিযান চালায়। এসময় সরকারি চাল ভর্তি ট্রাক ও চালককে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, ট্রাক ভর্তি ২০ মে.টন চাল কোঁটচাদপুর এলএসডি গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়েছিল। বিষয়টি আমরা উপজেলার প্রশাসনকে অবগত করেছি। তারা তদন্ত শেষে মামলা দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
কোঁটচাদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল আজিজ জানান, এ চালগুলো ছিল কোঁটচাদপুর খাদ্য গুদামের। এগুলো এলাঙ্গী, সাফদারপুর ও বলুহর ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ ছিল। এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাফদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নওশেরসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণকে আমি ডিও দিয়েছিলাম। তারা চাল তুলে কোথায় দিল সেটি আমি বলতে পারবো না। কবে তুলেছে সেটিও আমি জানি না। তবে বিষয়টি নিশ্চিত যে চালগুলো কোঁটচাদপুর গুদামের।
সংশ্লিষ্ট খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নওশের জানান, এলাঙ্গী, সাফদারপুর ও বলুহর ইউনিয়নের জন্য কাবিখা’র এ চাল তোলা হয়েছিল আজকে। চেয়ারম্যানগণ চাল তুলে কোথায় নিয়ে গেল সেটি তো আসলে আমাদের দেখার কথা নয়। তবে এটি ভুল হয়েছে আমরা প্রশাসনকে কিছু জানাইনি যে ছুটির দিনে চাল তোলার বিষয়ে।
Advertisement
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, কিসের জন্য কারা চালগুলো জীবননগর নিয়ে যাচ্ছিল সেটি তদন্ত করতে উপজেলা নির্বাহী আফিসার নাজনীন সুলতানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কোঁটচাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা জানান, এটি এমপি সাহেবের বিশেষ বরাদ্দ অর্থাৎ চেয়ারম্যানদের প্রকল্পের চাল ছিল যেটি কাবিখা’র। প্রকল্পের কাজ আগেই শেষ হয়েছিল কিন্তু তারা মন্ত্রণালয় থেকে ডিও ডেট বাড়িয়ে আজকে চাল তুলেছে। সুতরাং তারাই ভালো বলতে পারবে চাল রাখবে নাকি বিক্রি করে শ্রমিক মজুরি দেবে। কেননা অনেকেই আছে শ্রমের বিনিময়ে চাল নিতে চায় না। এটি আমাদের বিষয় না। আটক চাল ও ট্রাকটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমএএস/এমকেএইচ
Advertisement