ভারতে সম্প্রতি শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে আগের চেয়েও বেশি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে মোদির বিজেপি। কংগ্রেস গতবারের মতো আবারও হেরেছে। তবে মজার বিষয় হলো, দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে দেশটির প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেস যে ভোট পেয়েছে তার চেয়ে বেশি মানুষ ‘না’ ভোট দিয়েছে।
Advertisement
ভারতের নির্বাচনে মুলত লড়াই হয় বিজেপি আর কংগ্রেসের মধ্যে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আঞ্চলিক দলের আধিপত্যে সেখানে যে কংগ্রেস কিংবা বিজেপি জিতবে না সেটা অনুমিতিই ছিল। কিন্তু দুই দল এত কম ভোট পাবে যা ‘না’ ভেটের চেয়েও কম হবে এমনটা হয়তো ভাবেনি কেউ।
ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চের প্রধান দুই অভিনেতা হলো বিজেপি আর কংগ্রেস। গোটা ভারতে প্রধান এই রাজনৈতিক দল দুটির মধ্যে লড়াই হলেও বিভিন্ন প্রদেশে আঞ্চলিক দলগুলোও বেশ আধিপত্যশীল। বিধানসভা থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচনে তারাই পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রদেশটিতে শুধু এবারের লোকসভা নির্বাচন নয় বরং কিছুদিন আগে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনেও প্রভাবশালী এই দুই জাতীয় দলের তুলনায় ‘না’ এর পক্ষে বেশি ভোট পড়েছে।
Advertisement
বিজেপি জোট এবারের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৫০টিতে জয়ী হয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তবে দেশজুড়ে বিজেপির গণজোয়ার দেখা গেলেও সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশে দলটি পেয়েছে মাত্র ০.৯৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির চেয়ে সামান্য বেশি ১.২৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর না ভোট প্রড়েছে ১.৫ শতাংশ।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ১৭৫টি আসনের বিধান সভা নির্বাচনের সময়ও কংগ্রেস-বিজেপিকে প্রত্যাখানের চিত্র ছিল একই রকম। ওই নির্বাচনে বিজেপি মাত্র ০.৮৪ শতাংশ এবং কংগ্রেস ১.১৭ শতাংশ ভোট পায়। আর ‘উপরের কোনো দলই নয়’ ভোট পড়েছে এ ১.২৮ শতাংশ। ফলে উভয় নির্বাচনে কংগ্রেস-বিজেপি থেকে যারা প্রার্থী ছিলেন তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement