অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প, রেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে বন্দর সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।রোববার রাজধানীর মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ‘ডেভেলপমেন্ট অব ল্যান্ড পোর্ট অ্যান্ড ল্যান্ড কাস্টমস ফর ট্রেড ফেসিলিটিশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থলবন্দর কতৃপক্ষের পরিচালক (অডিট) আবুল কালাম।তিনি বলেন, দেশের নৌ ও স্থলবন্দরগুলোর সঙ্গে শুধু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একা জড়িত নয়। বন্দরের সঙ্গে অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প, রেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও জড়িত। তাই এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিতভাবে চেষ্টা করতে হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেই বন্দরের এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। আর এ জন্যে সমস্যাগুলো লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।শাহজাহান খান বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য তরান্বিত করতে বন্দরগুলোতে অবাধে সব পণ্যের আমদানি রফতানির অনুমোদন থাকা প্রয়োজন।২০২৩ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরের কাজ শেষ করে তাকে পূর্ণরুপ দেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, সিলেটের শেওলাকে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ বন্দর ঘোষণা করা হবে।বেসরকারিভাবে বন্দর পরিচালনা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিওটিতে ভালো চললে আমরা আরও বন্দর তাদেরকে দিতাম। সোনা মসজিদ বন্দর বেসরকারিভাবে উন্নয়ন করতে দিয়ে সেখানে আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। তাই আর কোনো বন্দরকে বিওটির মাধ্যমে দিতে চাই না। দেশের বন্দরগুলোতে ব্যাংক ও বুথ স্থাপনে একমত পোষণ করেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেগুলো ব্যাংক ও বুথ স্থাপনে উদ্যোগ নেয়া হবে।ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ সরণ বলেন, বেনাপোলের সঙ্গে পেট্রোপোলের লিঙ্করোডের কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানান। স্থলবন্দরের সাফল্য দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য উন্নয়ন নির্ধারণ করবে। তাই স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামোর উন্নয়নে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ লক্ষ্যে দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে পারস্পরিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, আমি বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন করেছি। ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য বন্দরগুলো পরিদর্শন করে সমস্যা জানার চেষ্টা করবো।এনবিআরের সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ১৬টি বন্দরের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বিত ব্যবস্থা নেই। এ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তাছাড়া ২২টি বন্দরের সঙ্গে আন্তর্জাতিকমানের সড়ক যোগাযোগও নেই।এসআই/একে/আরআইপি
Advertisement