ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র ক’দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নগরের মানুষগুলো। বাস, ট্রেন, লঞ্চে গন্তব্যে ফিরতে এখন অগ্রিম টিকিট সংগ্রহের ছুটোছুটি চলছে।
Advertisement
আরও পড়ুন >> মহাসড়কে গরু-ছাগল উঠলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
ঈদ সামনে রেখে বাস, ট্রেনের মতো বিপুলসংখ্যক মানুষ নদীপথে লঞ্চে ফিরবেন প্রিয়জনদের কাছে। শনিবার সদরঘাট ঘুরে অনেকটাই যাত্রীশূন্য দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত ২৫ রোজার পর ঈদযাত্রীরা সদরঘাট দিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করবেন। এখন ঈদযাত্রীতে জমে ওঠার অপেক্ষায় সদরঘাট।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ৫ বা ৬ জুন দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
Advertisement
শনিবার সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালগুলোতে সারি সারি লঞ্চ দাঁড়িয়ে আছে। কোনো যাত্রীর আনাগোনা নেই। লঞ্চকর্মীদের নেই হাঁক-ডাক। ফাঁকা লঞ্চগুলোর সামনে কেবিন বুকিংয়ের জন্য বসে আছেন লোকজন। তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে ২, ৩ ও ৪ জুনের কেবিন ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে।
ঢাকা-রবিশাল রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সামনে বসেছিলেন লঞ্চের মাস্টার মো. আলম। তিনি বলেন, ‘২৫ রোজার পর থেকে লঞ্চে ঈদের যাত্রী চলাচল শুরু হবে। এখন অনেকটা ফাঁকাই আমরা আসা যাওয়া করছি। বছরের অন্যান্য সময়ে যে যাত্রী হয় এখন লঞ্চে সেই যাত্রীও হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন >> ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঈদের দু-তিন দিন আগের কেবিনের বেশির ভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
পারাবত-৯ লঞ্চে খাতাপত্র নিয়ে বসেছিলেন দু’জন কর্মী। তারা জানান, তারা পারাবত-৮, পারাবত-৯ ও পারাবত-১০ লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বুকিং দিচ্ছেন। ৩ ও ৪ জুনের সব কেবিন প্রায় বুকিং হয়ে গেছে। ২ জুনের কিছু কেবিন শুধু খালি আছে।
সদরঘাটে লঞ্চ কোম্পানিগুলোর যে কাউন্টার রয়েছে সেগুলোও খালি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কোনো কোম্পানি এখান থেকে টিকিট বিক্রি করে না বলে জানা গেছে।
সদরঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ সামনে রেখে বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনালের শেষ মুহূর্তের সংস্কারকাজ করছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্মীদের টার্মিনাল ভবনের বিভিন্ন স্থানে রঙ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন >> ঈদযাত্রায় থাকছে ভোগান্তির শঙ্কা
ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে তিন-চারদিন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ লোক সদরঘাট দিয়ে নদীপথে গ্রামের বাড়িতে যান।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, চাহিদা থাকাসাপেক্ষে ৩০ মে সদরঘাট থেকে স্পেশাল লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। বর্তমানে ২১৫টি লঞ্চ আছে। সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিদিন ৮০টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়, আবার বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ৮০টি লঞ্চ সদরঘাটে আসে।
বাকি ৫৫টি লঞ্চ দিয়ে স্পেশাল সার্ভিস পরিচালনা করা হবে বলে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরএমএম/এনডিএস/এমকেএইচ