ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধের দুই মাস পর বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াত-উল-মুজাহিদীনকে (জেএমবি) অবৈধ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ভারত। শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জেএমবিকে নিষিদ্ধের তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
নয়াদিল্লির ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেআইনি কার্যক্রম (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) অনুযায়ী, জামায়াত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জামায়াত-উল-মুজাহিদীন ভারত বা জামায়াত-উল-মুজাহিদীন হিন্দুস্তান এবং সংগঠনটির সব প্রকাশনা কালো তালিকাভুক্ত করা হলো।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউএপিএ আইনের প্রথম সূচি অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে, এই সংগঠনটি এখন থেকে ভারতে নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন : নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ
Advertisement
মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, সন্ত্রাসবাদের প্রসার ও তরুণদের নিয়োগ এবং মৌলবাদে জড়ানোর কাজ করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, বিস্ফোরক/রাসায়নিক সংগ্রহের জন্য তহবিল গঠন করেছিল জামায়াত-উল-মুজাহিদীন। জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়ে ১৯৯৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে এই জঙ্গি সংগঠন।
আরও পড়ুন : মোদির গুজরাটে ভয়াবহ আগুন, নিহত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান এবং বোধ গয়া বিস্ফোরণে জেএমবির জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। আসাম পুলিশ অন্তত পাঁচটি সন্ত্রাসী ঘটনায় জেএমবির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারতে অভিযুক্ত ৫৬ জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
Advertisement
দিল্লি বলছে, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার কাছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল জেএমবি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এসআইএস/এমকেএইচ