ঈদকে সামনে রেখে এখনও বলার মতো কোনো ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
Advertisement
তিনি বলেন, ছিনতাই হয়নি অর্থ এই নয় ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, অজ্ঞানপার্টির অস্তিত্ব নেই। আছে, তবে পুলিশ তাদের দৌড়ের ওপর রেখেছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান মজার ইশকুল। প্রতিবছর ঈদে পথ শিশুদের মাঝে নতুন ঈদবস্ত্র উপহার দিয়ে থাকে এই সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার দুপুরে পথ শিশুদের নিয়ে ঈদ উৎসবের আয়োজন করে মজার ইশকুল।
Advertisement
এতে প্রধান অতিথি হয়ে পথ শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কমলাপুর রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে ৪০০ পথশিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দুই মাস আগে থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের (ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, অজ্ঞান পার্টি) গতিপথ অনুসরণ করছে। পোশাকি পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে অনেককে গ্রেফতার করেছে। যার কারণে অপরাধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।অভিযানের ফলে অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। আমাদের কর্মকাণ্ডের জন্য অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণে ও দমনে রয়েছে।
কমিশনার বলেন, ছিনতাই-চাঁদাবাজির সুস্পষ্ট কোনো ঘটনা নেই। অপরাধীর নাম নেই। এভাবে অপরাধীকে ধরা যাবে না। কেউ সুস্পষ্ট বর্ণনা দিতে পারলে সে অপরাধী রক্ষা পাবে না।
ঈদে ফাঁকা ঢাকা ও ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপির কমিশনার বলেন, বাস, লঞ্চ, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি দমনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফাঁকা ঢাকায় চুরি, ডাকাতি ঠেকাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই সময়ে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সির সদস্যরাও কাজ করবেন।
Advertisement
নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ একা অপরাধীদের দমন করতে পারবে না, সুশাসন আনতে পারবে না, জনগণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবে না। সাংবাদিক, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারব তখন সবকিছু করা সম্ভব। অপরাধের বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই যখন একযোগে লড়তে পারব ঠিক তখনই আমরা সফল হতে পারব।
কমিশনার বলেন, আমরা পুলিশের লোক সারাদিন ডিউটি করি। রমজানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শহরে দুই হাজার পুলিশ সদস্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে সারাদিন ডিউটি করে। এমনকি প্রিয়জনদের সঙ্গে ইফতার করতে পারে না। তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা খেজুর ও এক গ্লাস পানি পান করে ইফতার করছে। এরপরেও মুখে হাসি দিয়ে নাগরিকদের সুবিধার স্বার্থে তারা দায়িত্ব পালন করছে। সারাদিন সারারাত আমরা দায়িত্ব পালন করি। চেকপোস্ট-তল্লাশি, ব্লক রেইড করছি যাতে করে সন্ত্রাসী বা দুর্বৃত্তরা শান্তিকামী মানুষকে যেন কষ্ট দিতে না পারে। উল্লেখ্য, মজার ইশকুল (একটি অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ) অরাজনৈতিক, অলাভজনক সংগঠন। ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে তরুণদের সমন্বয়ে পথশিশুদের জন্য এই ইশকুল পরিচালিত হচ্ছে।
জেইউ/জেএইচ/পিআর