২০১১ বিশ্বকাপ, চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টের প্রায় অর্ধেকের বেশি পথ পাড়ি দেয়া হয়ে গেছে। ভারত, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে দুটি জয় এবং দুটি হার। গ্রেট ব্রিটেনের দুই ‘ল্যান্ড’ তথা আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এসেছে দুই জয়। শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
Advertisement
আয়ারল্যান্ডের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর বাংলাদেশ চট্টগ্রামে মুখোমুখি হলো ইউরোপের আরেক দেশ, আইসিসিরি সহযোগি নেদারল্যান্ডসের। বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস এই দুই দলের বিপক্ষে জয় প্রত্যাশিতই ছিল। আইরিশদের বিপক্ষে জয়টা কষ্টে এলেও নেদারল্যান্ডসকে হেসে খেলেই (৬ উইকেটে) হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডকে হারানোর পর এমনিতেই ফুরফুরে মেজাজে ছিল বাংলাদেশ। তারওপর লাকি ভেন্যু চট্টগ্রাম। সেখানে ডাচদের আতিথেয়তা দিয়েছিল টাইগাররা। টস করতে নেমে জিতেছিলেন ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেন।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়া নেদারল্যান্ডস। রায়ান টেন ডেসকাটের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও বাংলাদেশের বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ডাচ ব্যাটসম্যানরা। ৪৬.২ ওভারে তারা অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৬০ রান করে। স্পিনার আদরুর রাজ্জাক নেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট করে নেন সাকিব, রুবেল এবং সোহরাওয়ার্দি শুভ। ৪টিই হয়েছিল রানআউট।
Advertisement
জবাব দিতে নেমে তামিম ইকবাল ইনিংসের চতুর্থ বলেই বোল্ড হয়ে যান কোনো রান না করে। কিন্তু ইনফর্ম ইমরুল কায়েস ডাচদের সামনে দাঁড়িয়ে যান পাহাড়ের মত। ১১৩ বলে অপরাজিত ৭৩ রান করেন ইমরুল কায়েস। জুনায়েদ সিদ্দিকী ৫৩ বলে করেন ৩৫ রান। শাহরিয়ার নাফিস করেন ৬০ বলে ৩৭ রান।
ইমরুল কায়েস এবং মুশফিকুর রহীম অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪১.২ ওভারেই (৫২ বল হাতে রেখে) ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অসাধারণ ইনিংসটি খেলার জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ইমরুল কায়েস। টানা দুই ম্যাচে সেরা হলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরনেদারল্যান্ডস : ১৬০/১০, ৪৬.২ ওভার (রায়ান টেন ডেসকাট ৫৩*, টম কুপার ২৯, এরিক সোয়ারজিনস্কি ২৮, অ্যালেক্সি কারভেজি ১৮; আবদুর রাজ্জাক ৩/২৯, সাকিব ১/৩৮, রুবেল হোসেন ১/৩৬, সোহরাওয়ার্দি ১/৩৩)।
বাংলাদেশ : ১৬৬/৪, ৪১.২ ওভার (ইমরুল কায়েস ৭৩*, শাহরিয়ার নাফীস ৩৭, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩৫, মুশফিক ১১*; টম কুপার ২/৩৩)।
Advertisement
ফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।ম্যাচ সেরা : ইমরুল কায়েস।
আইএইচএস/পিআর