টেলিভিশনে চোখ রাখলেই এখন ভোটের ফলাফল দেখা যায়। আশপাশে টিভি না থাকলেও সমস্যা নেই, স্মার্টফোন তো আছেই। ইন্টারনেটে ঢুকে আরও দ্রুত ফলাফল জানা যাবে। প্রচার থেকে ফলাফল প্রকাশ, সবই এখন ডিজিটাল। তবে শুরুর দিকের পদ্ধতি এমন ছিল না।
Advertisement
স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫১ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যে। সে সময় ৮ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছিল। লোকসভা আসন ছিল ৪৮৯ আর প্রার্থী লড়েছিলেন ১ হাজার ৮৪৯ জন। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৭ দশক। এখন ভারতে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। ১ হাজার ৮৪১টি রাজনৈতিক দলের ৮ হাজার ৪০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
আগে ভোট গ্রহণ করা হতো ব্যালট পেপারে, আর এখন ভোট হয় মেশিনে। সে সময় ভোটের জিনিসপত্র ঘোড়ায় কিংবা উটের পিঠে চাপিয়ে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা হতো। সময় পাল্টেছে আজ। হেলিকপ্টারে করে মুহূর্তের মধ্যে ব্যালট পেপারসহ ভোটের যাবতীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
ভোটের ফলাফল দেখার ব্যাপারটাও ছিল অন্যরকম। দেশের বিখ্যাত সব ল্যান্ডমার্কের সামনে দাঁড় বিল বোর্ড করানো থাকত। তার সামনেই হাজির হতো সাধারণ মানুষ। সেই বোর্ডে ভোটের ফলাফলের আপডেট লাগিয়ে দেয়া হতো। ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে, ফলাফল এমন কেন হলো- মুহূর্তের মধ্যে এসব বিশ্লেষণের কথা ভাবতোই না তখনকার মানুষ।
Advertisement
তবে ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে তাবৎ সিস্টেম বদলালেও একটা জিনিস আজও বদলায়নি। আর তা হলো, ভোট নিয়ে জনগণের উত্তেজনা। তখনও দূর-দূরান্ত থেকে ভোট দিতে আসতো মানুষ। ভোট শেষে ফলাফলের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতো।
তেমনি অপেক্ষা শেষে আবারও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার পেল ভারতবাসী। আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন কতটুকু ঘটাবেন মোদি, এবার তা দেখার অপেক্ষায় দেশটির সাধারণ মানুষ।
এমএসএইচ/এমএস
Advertisement