কর্মদিবসে সবার পক্ষে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই শুক্রবার (২৪ মে) ছুটির দিনে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ঈদের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহে বাড়তি চাপ। এ ছাড়া আজ দেয়া হচ্ছে ১ জুনের টিকিট, ঈদের আগে ওইদিন শেষ সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় টিকিটের চাহিদাও বেশি।
Advertisement
সরেজমিন দেখা যায়, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও গতকাল রাত ১০টা থেকেই রেলস্টেশনে অবস্থান নেন টিকিট প্রত্যাশীরা। তাদের অনেকেই আবার নিয়ে এসেছিলেন পাটি আর সেহেরির খাবার। তবে এতকিছুর পরও টিকিট হাতে পেয়ে তাদের অনেকেই ভুলে গেছেন রাতের কষ্ট। আবার অনেকে একটু দেরিতে আসায় ভুগছেন টিকিট না পাওয়ার শঙ্কায়।
আরও পড়ুন>>ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে ২০ প্রস্তাব
তবে তাদের জন্য আশার কথা শোনালেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন মাস্টার আবুল কালাম আজাদ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গত দুদিন সকালে প্রচণ্ড ভিড় থাকলেও দুপুরের পরেই কাউন্টার ফাঁকা হয়ে যায়। আজ হয়তো তা হবে না, তবে আশা করছি, সবাই টিকিট হাতে নিয়েই বাড়ি ফিরবেন। এ ছাড়া অনলাইনে প্রথম দিনের (৩০ মে) কিছু অবিক্রিত টিকিট আছে। নিয়ম মাফিক টিকিট বিক্রি শেষ হলে, ওই অবিক্রিত টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।
Advertisement
তিনি জানান, ৯টি আন্তঃনগর ও দুটি বিশেষ ট্রেনের ১২ হাজার টিকিট রেল স্টেশনের ১০টি কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। এ জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। তবে একাধিক ট্রেনের ও ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির টিকিট কোনো ব্যক্তি একা সংগ্রহ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন>>এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে : ওবায়দুল কাদের
চান্দগাঁও আবাসিক থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে এসেছেন গৃহকত্রী সালমা আক্তার। তিনি জানান, বাবার বাড়ি চট্টগ্রামে হলেও শশুড়বাড়ি নরসিংদী। স্বামী কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে সিলেটে গেছেন। তাই ঈদ করতে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে শশুড়বাড়িতে তাকে একাই যেতে হচ্ছে।
সালমা আক্তার বলেন, আপনার ভাই বাস জার্নি একদম পছন্দ করেন না। তাই ১ জুনের রেলের টিকিটের জন্য রাত থেকে অপেক্ষায় আছি। সেহেরির পর কাজের মেয়েটাকে লাইনে দাঁড় করিয়েছিলাম। এখন নিজেই দাঁড়িয়ে আছি। আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যে টিকিট পেয়ে যাবো। তাহলেই সব কষ্ট উসুল হয়ে যাবে।
Advertisement
আরও পড়ুন>>ঈদযাত্রায় থাকছে ভোগান্তির শঙ্কা
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এস এম মুরাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এবার জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট বিক্রি হওয়ায় কালোবাজারির সুযোগ নেই। এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাউন্টারে রেলওয়ের নিজস্ব পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আবু আজাদ/জেডএ/এমএস