আফগানিস্তান ক্রিকেটের উত্থানের অন্যতম কারিগর ধরা হয় আসগর আফগানকে। যিনি দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যখন বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের অস্তিত্ব ছিলো না থাকার মতোই। সেখান থেকে আফগানিস্তানকে বড় দলগুলোর বিপক্ষে লড়াই করার মানসিকতা এনে দেয়ার বড় কৃতিত্বও ৩১ বছর বয়সী আসগর আফগানের।
Advertisement
শুরুতে তার নাম আসগর স্ট্যানিকজাই থাকলেও নিজ দেশের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা এবং বিশ্ব দরবারে দেশের পরিচিত আরেকটু বাড়ানোর জন্য নামের ‘স্ট্যানিকজাই’ অংশ বাদ দিয়ে জাতীয়তা ‘আফগান’ জুড়ে দেন তিনি। যা প্রশংসিত হয় সারা বিশ্বব্যাপী।
আফগানিস্তান তথা পুরো ক্রিকেট বিশ্বই অপেক্ষায় ছিলো এবারের বিশ্বকাপে নিজ দেশকে নেতৃত্ব দেবেন আসগর আফগান। কিন্তু আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মাথায় ঘুরছিল ভিন্ন চিন্তা। তাই তো বিশ্বকাপের অল্প কিছুদিন আগে তারা সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক বদলের। আসগর আফগানকে সরিয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব দেয়া হয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার গুলবদিন নাইবকে।
ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঝড় ওঠে আফগানিস্তানের ক্রিকেটে। দলের সেরা দুই তারকা মোহাম্মদ নবী এবং রশিদ খান প্রকাশ্যে ধুয়ে দেন বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের। তবু বদল হয়নি সিদ্ধান্তের। তাই আসগর আফগান বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও, দলের নেতৃত্ব দেবেন ২৮ বছর বয়সী গুলবদিন নাইব।
Advertisement
তবে নতুন অধিনায়ক নাইব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপে তার অধিনায়ক এখনো আসগর আফগানই। দলের অন্যান্য সাধারণ খেলোয়াড়দের মতো নয় আসগর বলেন নাইব। বৃহস্পতিবার আইসিসির আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আফগানদের বর্তমান অধিনায়ক।
নাইব বলেন, ‘আসগর আফগান এখনো আমার অধিনায়ক। স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচগুলোতে সে অনেক সাহায্য করেছে। মূলত অধিনায়কত্বের পাঠ দিয়েছে। সে আমার কাছে অন্য সাধারণ খেলোয়াড় নয়, এখনো আমার অধিনায়ক সে।’
এসময় তিনি আরও জানান বিশ্বকাপে আসগরসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র খেলোয়াড়দের সহায়তা প্রয়োজন তার, ‘বিশ্বকাপে আমি আসগরের সহায়তা চাই। শুধু তারই নয়, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খানদের মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়রাও তাদের ভাণ্ডার থেকে আমাকে সাহায্য করে। আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই- আফগানিস্তানের হয়ে খেলা, একটা দল হয়ে খেলা। অধিনায়ক যেই হোক না কেন’
এসএএস/এমএস
Advertisement