এর আগে যতোবারই বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ, প্রতিবারই বিপক্ষ দলের অধিনায়কদের কাছ থেকে পাওয়া যেতো ক্রিকেটীয় ভদ্রতাসূচক প্রশংসাবাক্য। যেগুলোর গভীরতা ছিলো খুবই অল্প।
Advertisement
তবে এবার বদলে গেছে দৃশ্যপট। শিরোপা জেতার বড় লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল, প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে সেমিফাইনাল। আর টিম বাংলাদেশের যে এ লক্ষ্য অর্জনের সামর্থ্য রয়েছে তা টের পেয়েছে অংশগ্রহণকারী বাকি দেশুগুলো।
তাই তো বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বকাপ শুরুর আগে অধিনায়কদের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাড়তি গুরুত্বই পেল বাংলাদেশ দল। সঞ্চালক মার্ক চ্যাপম্যানসহ উপস্থিত অন্যান্য অধিনায়করা বলাবলি করছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে টাইগারদের উত্থান সম্পর্কে। ঘরে-বাইরে সমানভাবে লড়াই করার মানসিকতার ব্যাপারে।
প্রতিপক্ষের কাছে এমন গুরুত্ব ও সমীহ পেয়ে দারুণ অনুভূতি টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। সে অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন গুরুত্ব পায়, তখন আলাদা একটি অনুভূতি কাজ করে। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দলের অধিনায়কের কাছ থেকে যখন বাংলাদেশকে গুরুত্ব পেতে দেখি, ভালো লাগে।’
Advertisement
মাশরাফি আরও বলেন, ‘মঞ্চে প্রশ্নে যেমন জিজ্ঞেস করেছে গত বিশ্বকাপের পর ৯টি ওয়ানডে সিরিজ জয় নিয়ে। অন্য অধিনায়কেরা সেটি আগে থেকেই জানত। তারাই আমাকে বলছিল সেসব কথা। এটাও বলছিল, গত ২ বছরে আমাদের জয়ের হার অনেক ভালো। একটা সময় এসব দেখিনি যে ওরা এসব চিন্তা করেছে। এখন এসব নিয়ে গবেষণা করছে, গুরুত্ব দিয়ে বলছে, তার মানে বড় দলগুলি এখন আমাদের নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবে। এটা অবশ্যই উন্নতির একটা চিহ্ন।’
বড় দলগুলোর কাছ থেকে এমন প্রশংসাবাক্য ও সমীহ পাওয়ার পর দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিশ্বমঞ্চে পাওয়া এমন বিশেষ গুরুত্ব নিজেদের খেলার মান বাড়াতে সাহায্য করবে বলেই বিশ্বাস মাশরাফির।
‘আশা করি, আমরা আরও ওপরে যাব। একটা পর্যায় থেকে আমরা পরের পর্যায়ে আসতে পেরেছি। এই ধরনের টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করলে আরও ওপরের ধাপে যাব। তবে বাংলাদেশকে দলকে ওরা সবাই দারুণ সমীহ করছে, এটা ভালো লাগার ব্যাপার’- বলছিলেন মাশরাফি।
এসএএস/এমএস
Advertisement