নির্বাচনের ফলাফল ভারতের শেয়ার বাজারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রাথমিক ফলাফল থেকে নরেন্দ্র মোদির সুনিশ্চিত বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ার পর থেকেই শেয়ার বাজারের মূল্য সূচক আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে।
Advertisement
প্রধান দুই শেয়ার বাজার সেনসেক্স এবং নিফটি৫০-এর সূচক যখন বাড়তে থাকে তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উল্লাস বাড়তে থাকে। এমন নাটকীয় পরিবর্তন আগে দেখা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে ব্যবসা-বান্ধব বলে প্রচার করে আসছেন। তাই শেয়ার বাজারের ঊর্ধ্বগতি তার প্রতি বিনিয়োগকারীদের সমর্থনের ইংগিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দৃশ্যত কমে এসেছে। গত কয়েক মাসে গাড়ি এবং দুই-চাকার বাহনের বিক্রি চরমভাবে কমে গেছে। এ দুটিকে ভোক্তাদের চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ সূচক বলে মনে করা হয়।
Advertisement
নতুন সরকারের জন্য এটা একটা প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। গত পাঁচ বছরে মোদি অর্থনীতিতে বেশি কিছু সংস্কার এনেছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোদিকে এগুলোর ওপর আরও কাজ করতে হবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।
ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়ী হয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৫৪২ আসনের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৪২ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট পেয়েছে ৯১ আসন। বিজেপি একাই ৩০০'র বেশি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে।
গত তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকার গঠন করছে। বিজেপির বিশাল ব্যবধানের এই জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক মাধ্যম টুইটারে এক টুইট বার্তায় বলেন, আবারও জিতেছে ভারত।
Advertisement
ভূমিধস এই জয়ের পর এক টুইটে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা একসঙ্গে লড়ব। একসঙ্গে সমৃদ্ধ হবো। আমরা একত্রে শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত গড়ব। ভারত আবারও জয়ী হয়েছে। বিজয় ভারত।
টিটিএন/এমএস