দেশজুড়ে

লাশ ফেলে আসার বর্ণনা দিলেন অটোরিকশার চালক

সিলেট নগরের মদন মোহন কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক সাইফুর রহমানকে নগরের হোটেলে হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয় দক্ষিণ সুরমার হাওরের পাশে। সিএনজিচালিত যে অটোরিকশায় করে লাশ ফেলে আসা হয় সেই অটোরিকশার চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে লাশ ফেলে আসার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অটোরিকশাচালক হাফিজুর রহমান।

মহানগর পুলিশ জানায়, গত বুধবার নগরের রিকাবীবাজার থেকে অটোরিকশা চালক হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে সিলেট মহানগর ৩য় হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হাফিজুর।

হাফিজুর রহমান নেত্রকোনা উপজেলার ঠাকুরকোণা গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরাণ থানাধীন ২নং ওয়ার্ডের টুলটিকর মিরাপাড়ার বাবুল মিয়ার কলোনিতে বসবাস করেন।

Advertisement

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, হাফিজুরকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে লাশ ফেলে আসার কথা স্বীকার করে হাফিজুর।

আদালতে হাফিজুরের জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সাইফুরের লাশ নগরীর হোটেল মেহেরপুর থেকে দক্ষিণ সুরমার হাওরের পাশে ফেলে আসার ব্যাপারে তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। বড় অংকের অর্থের লোভে সে লাশ ফেলে আসে বলে স্বীকারোক্তিতে জানায়। তাসনিম রুপা ও মুজাম্মিল হোসেন লাশ ফেলে আসার জন্য হাফিজুরের সঙ্গে চুক্তি করেন বলেও আদালতকে জানান তিনি।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় আগেই তাসনিম রুপা ও মুজাম্মিল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন তারা। ত্রিমুখী প্রেমের জেরে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জবানবন্দীর বরাত দিয়ে জানায় পুলিশ।

গত ৩১ মার্চ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেমুখী বাইপাস এলাকা থেকে সাইফুর রহমানের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

Advertisement

ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস