জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের অবৈধ সম্পদের তথ্য আছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে। এমনটি জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
Advertisement
অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় অনুসন্ধান কর্মকর্তার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কমিশন সভা থেকে রুহুল আমিন হাওলাদারের সম্পদ বিবরণীর জারির পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছে। শিগগিরই দুদক থেকে সম্পদ বিবরণী জারি করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান।
এর আগে ২০ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও ওমরাহ হজে যাওয়ার প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে হাজির হননি রুহুল আমিন হাওলাদার। ওই সময় দুদকের চিঠির জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, ওমরাহ হজ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কারণে দুদকের অনুসন্ধান কাজে সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। ওমরা শেষে ঈদের পর দুদককে সহযোগিতা করবেন তিনি।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ১৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদের সই করা নোটিশে রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করা হয়েছিল। তৃতীয়বারের মতো তাকে ওই নোটিশ করা হয়।
Advertisement
সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের জন্য ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে প্রথম তলব করে দুদক। কিন্তু সে সময় নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির না হয়ে ‘হাজিরা থেকে অব্যাহতির’ আবেদন করেন তিনি।
এরপর তাকে ফের চিঠি পাঠান দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমদ। ২৮ মার্চ হাওলাদারকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয় নোটিশে।
ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাওলাদার রিট আবেদন করলে আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চার সপ্তাহের জন্য নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। ওই স্থগিতাদেশটি গত ২৮ এপ্রিল স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
স্থগিতাদেশের ফলে হাওলাদারকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে ওই সময় জানান দুদকের আইনজীবীরা।
Advertisement
এফএইচ/এমএআর/বিএ