জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দোয়া করবেন দেশকে যেন জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে আমরা চাই, বাংলাদেশ যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এ উন্নয়নের ধারাটা যেন অব্যাহত রাখতে পারি এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে বিচারপতি, কূটনীতিক, সরকারি সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তা, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সবসময় এটাই চেষ্টা করি, মানুষের জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। আর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-দুর্নীতি ও মাদকের হাত থেকে আমাদের সমাজ মুক্তি পাক। সবাই ভালো থাকুক, শান্তিতে থাকুক। সবাই যেন দেশের উন্নতি করতে পারি।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী মাসে আমরা বাজেট দেব। বিশাল আকারের বাজেট দিচ্ছি। আমরা মনে করি, উন্নয়নের এ ধারাটা অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি এটা খুব স্পষ্ট। সেটা সবসময় মেনে চলি এবং সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
দেশবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুব দুঃখিত। এবারে হয়তো ঈদে আমি দেশে থাকতে পারবো না। কারণ বেশ কয়েকটি বিদেশ সফর রয়েছে। আমি জাপান যাচ্ছি। সেখান থেকে সৌদি আরবে ওআইসি সম্মেলন। সেখান থেকে ফিনল্যান্ড যাবো। সেখান থেকে ৭ তারিখে দেশে ফিরবো। ঈদে যেহেতু থাকতে পারবো না, তাই এ ইফতার মাহফিল থেকে সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আমন্ত্রিত অতিথিরা গণভবনে ইফতার মাহফিলে আসায় অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এ আগমনে গণভবন ধন্য হয়েছে। দাওয়াত কবুল করেছেন, আমি খুব আনন্দিত।
সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী ইফতার মাহফিলস্থলে আসেন এবং অতিথিদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। ইফতার মাহফিলে কোরআন থেকে তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল পরিবেশন করা হয়। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
Advertisement
গণভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এ ইফতার মাহফিলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা প্রধান, ঢাকার কূটনৈতিক মিশনের ডিন ও ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জ কোচারি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচএস/বিএ