রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ৭ দিনের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যরত নার্স সুলতানা বেগম ও ছাত্রী শারমিন আক্তারকে লাঞ্চিত করেছেন ক্ষিপ্ত স্বজনরা। লাঞ্চিতের ঘটনায় শিশুর নানা সোনাই খান ও তার স্ত্রী হাসি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কর্ম বিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিলে জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম ও সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুল হক এর আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করেন।মৃত শিশুর চাচাতো নানা ওসমান জাগো নিউজকে জানান, আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ সকালে কাকলীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনই স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব করেন তিনি। কিন্তু বাচ্চার শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। ডাক্তাররা ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কারণ শিশুটির শ্বাস নালীতে সমস্যা রয়েছে। এদিকে, রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরে যাওয়ার পর বাচ্চার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকগণ। তারপর ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে ৩ দিন রাখার পর অর্থাভাবে আবার রাজবাড়ী হাসপাতালে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভর্তি করেন। তখন তাকে স্যালাইন, ইনজকেশন ও অক্সিজেন দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে তার অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে আমরা আবার দেয়ার কথা বললে নার্স অক্সিজেন নেই বলে জানান। তার কিছুক্ষণ পড়ে শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে কর্তব্যরত নার্সের সঙ্গে কথাকাটাটি হলে তারাই উল্টো আমাদের উপর হামলা করে এবং পুলিশ দিয়ে আমার ভাই ও ভাইয়ের বউকে ধরিয়ে দেয়।রাজবাড়ী সদর হাসাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম এ হান্নান জাগো নিউজকে জানান, ওই শিশুটি আমাদের হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর ও ঢাকায় চিকিৎসা নেয়ার পর আবার রাজবাড়ীতে আসে। কিন্তু শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তারপরও আমরা পুনরায় তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে থাকি। হঠাৎ রাতে সে মারা গেলে শিশুর স্বজনরা কর্তব্যরত নার্স ও ছাত্রীর উপর হামলা করে। এতে আমাদের কোনো রকম গাফিলতি ছিল না। রুবেলুর রহমান/এসএস/আরআইপি
Advertisement