একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের প্রথম দফার কার্যক্রম মধ্যরাতে শেষ হবে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪ লাখ ৪ হাজার ৬৪ শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। এসব শিক্ষার্থী সবমিলে ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৯০২টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছে। গড়ে প্রতি শিক্ষার্থী ৪ দশমিক ৪৪টি কলেজের জন্য আবেদন করেছে।
Advertisement
গত ১২ মে দেশের কলেজ ও মাদরাসার জন্য আবেদন নেয়া শুরু হয়। প্রথম দফা আবেদন নেয়া শেষ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে।
এবারও মোট তিন দফা আবেদন নেয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন। ২১ জুনই এদের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে আবেদন নেয়া হবে ২৪ জুন। ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত কলেজে ভর্তি হতে হবে। এ বছরও অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাচ্ছে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন পড়েছে। এ জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এ জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে।
Advertisement
তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। কলেজ পছন্দের করতে এবার প্রথম ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত আবেদন তালিকায় কলেজের পছন্দক্রম রদবদল করতে পারবে। ভর্তির জন্য কলেজ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন (রেজিস্ট্রেশন) করতে হবে। এ জন্য গত বছর ১৮৫ টাকা নেয়া হতো।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশীদ জানান, একাদশের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ভুয়া আবেদনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব আবেদন নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসছেন। তাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন রাখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ভুয়া ভর্তির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ভুয়া আবেদনকারীদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এমএইচএম/এসএইচএস/এমকেএইচ
Advertisement