খেলাধুলা

বিশ্বকাপে এবার ক্যারিবীয় ধাঁধা ভাঙতে পারবে বাংলাদেশ!

এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলেছে পাঁচবার। যেখানে প্রত্যাশিত জয়গুলোর পাশাপাশি টাইগাররা হারিয়েছে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো বড় দলগুলোকে। তবে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ এলেই যেনো ভড়কে যায় বাংলাদেশ, হারিয়ে ফেলে দিশা।

Advertisement

ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে চার বিশ্বকাপে। এ চার ম্যাচে জয় মেলেনি একটিতেও। এক ম্যাচ বৃষ্টির কারণে হয়েছে পরিত্যক্ত, বাকি তিন ম্যাচেই ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে হেরেছে টাইগাররা।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজেদের ষষ্ঠ আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পঞ্চমবারের মতো খেলতে নামবে বাংলাদেশ। শেষ চারের খেলার স্বপ্নপূরণ করতে হলে হারাতে হবে ক্যারিবীয়দেরকে। কিন্তু বিশ্বকাপের অতীত ইতিহাস সঙ্গে নেই টাইগারদের।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঠিকই ক্যারিবীয়দের ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে বাংলাদেশ। সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে পরপর তিন ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এছাড়া দেশটির বিপক্ষে সবশেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই জয়ী দলে ছিলেন মাশরাফি-সাকিবরা। তাই এবারের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধাঁধা ভেঙে যেতেই পারে।

Advertisement

তার আগে বিশ্বকাপে উইন্ডিজদের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা চার ম্যাচের চালচিত্র দেখে নেওয়া যাক এক নজরে

২১ মে ১৯৯৯ (ডাবলিন)

বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যায় ১৯৯৯ সালে। সেই আসরের ফাইনালিস্ট পাকিস্তানকে গ্রুপ পর্বেই হারিয়ে চমকে দেয় টাইগাররা। তবে সে আসরে বাংলাদেশ উইন্ডিজদের কাছে হারে ৭ উইকেট। আগে ব্যাট করে মেহরাব হোসেনের ৬৪ রানের পরেও ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। উইন্ডিজের হয়ে ৪ উইকেট নেন কোর্টলি ওয়ালশ। ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ (বেনোনি)

Advertisement

নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রান তুলে ক্যারিবীয়রা। ২৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮.১ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে ৩২ রান করে বাংলাদেশ। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত খেলা আর শুরু না হওয়ায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

১৯ এপ্রিল ২০০৭ (ব্রিজডাউন)

২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইটে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারও হারই সঙ্গী হয় টাইগারদের। নিজেদের ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করে ক্যারিবীয়রা ৫ উইকেটে তুলে ২৩০ রান। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ম্যাচ হারে ৯৯ রানে।

৪ মার্চ ২০১১ (ঢাকা)

২০১১ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ। সেবার নিজেদের মাঠেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় টাইগাররা। সঙ্গে জন্ম দেয় লজ্জার এক রেকর্ডেরও। নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৫৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। উইন্ডিজদের পক্ষে চার উইকেট নেন সুলেমান বেন। কেমার রোচ ও ড্যারেন স্যামি নেন তিন উইকেট। মাত্র এক উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এমএইচবি/এসএএস/এমকেএইচ