খেলাধুলা

‘বড় স্বপ্ন নিয়ে যাচ্ছি বিশ্বকাপে’

গত বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে ঝড় বয়ে যাচ্ছিলো তার মনে, অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা ওলট-পালট করে দিয়েছিল তার পৃথিবী। তবুও অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে জানিয়েছিলেন, জীবন বাজি রেখে খেলতে যাচ্ছেন। সে বাজিতে সফল হয়েছিলেন রুবেল হোসেন। তার হাত থেকে বেরিয়ে আসা অগ্নিগোলার সাহায্যেই ইংলিশদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

Advertisement

সে বিশ্বকাপেই পূণর্জন্ম হয় বাংলাদেশ দলের পেসার রুবেল হোসেনের। যিনি পরবর্তী চার বছর ধরে খেলে যাচ্ছেন দাপটের সঙ্গে, খেলতে নামবেন এবারের বিশ্বকাপেও। তবে এবার আর বাড়তি কোনো চাপ নেই তার ওপর। মাঠ এবং মাঠের বাইরে- সবখানেই দারুণ অবস্থায় থেকে খেলতে নামবেন ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে।

ফুরফুরে মেজাজে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে দল হিসেবে বড় স্বপ্নের কথাই জানিয়েছেন এ টাইগার পেসার, ‘বড় স্বপ্ন নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে যাচ্ছি আমরা। অবশ্যই আমাদের প্রথম টার্গেট সেমিফাইনালে খেলা। আমাদের সবার মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস আছে যে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি।’

বাংলাদেশ দলের বড় স্বপ্নপূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেনকে। সে ব্যাপারেও ওয়াকিবহাল রয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও খুব বেশি সমস্যা হবে না বলেই বিশ্বাস রুবেলের।

Advertisement

‘অনেক ম্যাচ খেলেছি, অনেক ট্যুর করেছি ইংল্যান্ডে। সেখানকার কন্ডিশন আমার মোটামুটি ভালোই জানা। এ ধরনের কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানকে বুঝে নিয়ে বোলিং করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট জায়গা ধরে রেখে বোলিং করে যেতে হবে। ডেথ ওভারে বাংলাদেশ দল বিগত দিনগুলোতে বেশ ভুগেছে। তো আমাদের ডেথ ওভার বিশেষ করে শেষ ১০ ওভার নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করতে হবে সবার। বিশেষ করে আমি নিজেই এটা নিয়ে কাজ করবো’- দলে নিজের দায়িত্বের ব্যাপারে বলছিলেন রুবেল।

তবে এ কারণে নিজের ওপর বাড়তি চাপ নিতে রাজি নন এ গতিতারকা। বরং মানসিকভাবে দারুণ অবস্থানে থাকায় মন খুলে বোলিং করতে পারার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রুবেল, ‘যেহেতু আমি দুইটা বিশ্বকাপ খেলেছি। তাই এখন আর বাড়তি চাপ নিলে হবে না। গত বিশ্বকাপে আমার একটা মানসিক চাপ ছিল। এবার আমার তেমন কোনো চাপই নেই। বলতে পারেন মানসিকভাবে দারুণ অবস্থানে আছি। আমার পূর্ণ মনোযোগ থাকবে বিশ্বকাপের দিকে এবং কীভাবে নিজের পারফরম্যান্স দেখাতে পারবো।’

এসএএস/আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement