জাতীয়

আজ থেকেই জমবে ঈদ বাজার, আশা ব্যবসায়ীদের

রমজানের অর্ধেকটা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোদমে জমে ওঠেনি ঈদের বাজার। এ বছর ঈদের বেচাকেনা খুবই ধীরগতির। মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় এখনো চোখে পড়েনি। তবে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের আশা, আগামীকাল (২৪ মে) রোজার তৃতীয় শুক্রবারকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই জমজমাট হয়ে উঠবে ঈদের বাজার।

Advertisement

নগরের বিভিন্ন শপিং মলের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার রোজা শুরুর আগ থেকেই সারাদেশে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঈদ বাজারেও এর স্পষ্ট প্রভাব পড়েছে। এছাড়া মাসের মাঝামাঝি হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা বাজারমুখী হচ্ছে না। এসব কারণে অন্যবারের তুলনায় বাজার জমতে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে তাপমাত্রা না কমলেও আজকের পর থেকে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি আর কম থাকবে না বলেই অভিমত তাদের।

চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যবিত্তের মার্কেট হিসেবে পরিচিত চকবাজারের মতি টাওয়ার ও চক সুপার মার্কেট। বিক্রেতা শাহাদাত জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো নয়। ১৪ রোজা পর্যন্ত তেমন কোনো বিক্রিই হয়নি। তবে ১৫-১৬ রোজা থেকে ক্রেতা আসতে শুরু করেছেন, বিক্রিও হচ্ছে। তবে ঈদের বাজার আজ থেকেই জমে উঠবে বলে আশা করছি।

ফ্যাশন হাউস ব্রাইটের স্বত্তাধিকারী আরিফুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছর রোজার শুরুতেই বেচাকেনার ধুম থাকে। কিন্তু এ বছর ১৫ রোজা পার হলেও তেমন একটা বেচাকেনা নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতোই বেচাকেনা চলছে। তবে আশা করছি আজ থেকে ব্যবসা ভালো হবে।

Advertisement

ক্রেতারা বলছেন, ঈদ বাজারের ক্রেতাদের মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। এদের একটি অংশ রোজা শুরুর আগে ঝামেলা ছাড়াই কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। আর যারা বাজার জমার পর কিনতে আগ্রহী থাকেন, তারা মূলত দশ রোজার পর থেকেই কেনাকাটা শুরু করেন। এদিক দিয়েও এবার একটু দেরিতেই বাজার জমছে। আগামীকার যেহেতু শুক্রবার, তাই আজ থেকেই বাজার জমবে।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, ঈদের বাজারে নারীদের পোশাকের চাহিদাই বেশি। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি পছন্দের নকশার পোশাক তৈরিতে নারীরা ছুটছেন টেইলার্সগুলোতে। শিশুদের পোশাকও ভালো বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য বাহারি পোশাকের সম্ভার নিয়ে সেজেছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজের শো-রুমগুলো।

নগরীর শপিং মলগুলোতে তরুণীদের ফ্যাশন নির্ভর ভারতের মুম্বাই ও কোলকাতার পোশাকের সমারোহ ঘটেছে। এবারের ঈদে নগরীর ফ্যাশন হাউজগুলোতে কুর্তি-কামিজ আর তাগার নতুনত্বে এবং শপিং মলের দোকানগুলোতে ভারতের নামিদামি ব্র্যান্ডের কটন ও জর্জেট কাপড়ের লংড্রেস-পালাজ্জো তরুণীদের দৃষ্টি কেড়েছে। সব ধরনের দোকানেই গরমে বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাক তোলা হয়েছে।

আগ্রাবাদের আখতারুজ্জামান সেন্টারের বিক্রেতা জামশেদুল ইসলাম জানান, দেশি পোশাকের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের প্রচুর সংগ্রহ রয়েছে তাদের। মান ও ক্যাটাগরিভেদে দেশি জামাগুলো বিক্রয় হচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। ভারতীয় জামাগুলোর দাম শুরু হচ্ছে তিন হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। অন্যদিকে পাকিস্তানি জামা পাওয়া যাচ্ছে চার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে।

Advertisement

আবু আজাদ/এমএসএইচ/জেআইএম