আন্তর্জাতিক

মোদির জয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে নতুন প্রস্তাব পাকিস্তানের

নয়াদিল্লির ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেরার দিনে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে প্রতিবেশি পাকিস্তান। একই সঙ্গে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে ইসলামাবাদ আগ্রহী বলে বার্তা দিয়েছে।

Advertisement

পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশির দীর্ঘদিনের উত্তেজনার মাঝে ভারতের নির্বাচনী ফল ঘোষণার দিনে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে শান্তি আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিলো ইসলামাবাদ।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ভারতকে সম্ভাব্য সতর্ক বার্তা দিয়ে পাকিস্তান ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে নিক্ষেপযোগ্য শাহিন-২ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। গতানুগতিক ধাঁচের পারমাণবিক অস্ত্রবাহী এই ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘাত হানতে পারে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে প্রতিবেশি ভারতের নাম উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, শাহিন-২ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র; যা এই অঞ্চলের দৃঢ় স্থিতিশীলতার রক্ষার জন্য পাকিস্তানের কৌশলগত চাহিদার সবকিছুই পূরণ করে।

আরও পড়ুন > পৈতৃক আসনেও হারছেন রাহুল গান্ধী

Advertisement

এর আগে বুধবার কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কোঅপরারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বৈঠকের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা কখনই তিক্তভাবে কথা বলি না। আমরা ভালো প্রতিবেশির মতো বসবাস এবং আলোচনার মাধ্যমে বিবাদমান বিষয়গুলোর সমাধান করতে চাই।

গত কয়েক মাসের টানা উত্তেজনার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বললেন। এর আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা ও পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অভিযান ঘিরে প্রায় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় চিরবৈরী এ দুই প্রতিবেশি।

আরও পড়ুন > নুসরাত-মিমির বাজিমাত

Advertisement

ওই সময় দুই দেশের বিমানবাহিনী পরস্পরের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। এতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একজন পাইলট-সহ একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। পরে পাক প্রধানমন্ত্রী শান্তির ইঙ্গিত হিসেবে ভারতীয় ওই পাইলটকে ফেরত দেয়ায় দুই দেশের উত্তেজনার পারদ নিচে নামে। ব্রিটেনের কাছ থেকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এ দুই দেশ বিতর্কিত কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাশ্মীর সঙ্কটের সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। ভারতের নির্বাচন শেষ হলেই এই আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে আশা করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

গত মাসেই ইমরান খান বলেছেন, তার বিশ্বাস, মোদির কট্টর হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আবারো ক্ষমতায় এলে শান্তি আলোচনার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এসআইএস/জেআইএম