কুষ্টিয়ায় নিজের গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নজরুল সংগীতের বরেণ্য শিল্পী, গবেষক, স্বরলিপিকার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতগুরু খালিদ হোসেনের মরদেহ। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পরে রাজধানীর তাজমহল রোডের বাইতুল আমান মসজিদে গুণী এই শিল্পীর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর নজরুল ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় জানাজার নামাজের শেষে খালিদ হোসেনকে নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে তার পরিবার। তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ি কুষ্টিয়ায় মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হবে।
খালিদ হোসেনের ছেলে আসিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাবা বলতেন তাকে যেনো দাদির কবরে দাফন করা হয়। বাবার কথা মতই তাকে তাঁর মায়ের কবরে দাফন করা হবে। কুষ্টিয়া ঈদগাহে বাদ এশা জানাজা শেষে, কুষ্টিয়া সদর কোটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
খালিদ হোসেনের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে থেকে কিডনির জটিলতা ও ফুসফুসের সমস্যাও বেড়ে গিয়েছিল তার। অবশেষে বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
Advertisement
তার মৃত্যুতে শোক নেমে আসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। ১৯৪০ সালের ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় জন্ম খালিদ হোসেনের। পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশে নজরুল গীতির শিক্ষক, গবেষক ও শুদ্ধ স্বরলিপি প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে সংগীত নিয়ে প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এমএবি/এলএ/জেআইএম
Advertisement