ঈদ সামনে রেখে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ১০টি কাউন্টারে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে। আজ বৃহস্পতিবার পাওয়া যাচ্ছে আগামী ১ জুনের টিকিট।
Advertisement
স্টেশন মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, সকাল নয়টা থেকে দ্বিতীয় দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ৯টি আন্তঃনগর ও দুটি স্পেশাল ট্রেনের টিকিট স্টেশনের ১০টি কাউন্টারে পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম দিনে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার টিকিট।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের যে ১০টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন। সেগুলো হলো- আন্তঃনগর সুবর্ণ, তূর্ণা, গোধূলি, মেঘনা, মহানগর, সোনার বাংলা, পাহাড়িকা, উদয়ন ও বিজয়। এছাড়া এবার ঈদে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য এক জোড়া বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ট্রেন দুটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর এবং চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলবে। সবগুলো রুটে প্রতিদিন ১২ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন > অ্যাপে ব্যর্থ হয়ে কমলাপুরে লাইনে
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে বাড়ি ফিরতে অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীরা সেহেরি খেয়েই লাইনে অবস্থান নেন। অনেকে অবস্থান নেন মধ্যরাত থেকেই। অ্যাপে টিকিট না মেলায় ভিড় বেড়েছে রেল স্টেশনে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, আজ ২৩ মে দেয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেয়া হবে ২ জুনের টিকেট, ২৫ মে দেয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেয়া হবে ৪ জুনের টিকিট। একইভাবে আগামী ২৯ মে থেকে ঈদ পরবর্তী ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ওই দিন দেয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ মে ১ জুন, ৩১ মে ২ জুন ও এভাবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এস এম মুরাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। এ জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। তবে একাধিক ট্রেনের ও ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর টিকিট কোনো ব্যাক্তি একা সংগ্রহ করতে পারবে না। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাউন্টারে রেলওয়ের নিজস্ব পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আবু আজাদ/এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement