জাতীয়

সোনাহাট স্থলবন্দরে যাতায়াতে দুধকুমার নদীতে নির্মিত হচ্ছে সেতু

কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে যাতায়াতের সুবিধার্থে ভুরুঙ্গমারী-সোনাহাট স্থলবন্দর-ভিতরবন্দ-নাগেশ্বরী মহাসড়কের দুধকুমার নদীতে সেতু নির্মিত হচ্ছে। ১৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এ সেতুটি নির্মাণে কাজ পেয়েছে মেসার্স এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। এ-সংক্রান্ত একটি ক্রয়প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

Advertisement

বুধবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠকে ভুরুঙ্গমারী-সোনাহাট স্থলবন্দর-ভিতরবন্দ-নাগেশ্বরী মহাসড়কের দুধকুমার নদীতে সেতু নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করবে এমএম বিল্ডার্স লিমিডেট।

তিনি আরও বলেন, সেতু-সংশ্লিষ্ট এলাকাটি একটু পিছিয়ে রয়েছে। সেতু নির্মিত হলে এলাকাটি এগিয়ে যাবে।

Advertisement

জানা গেছে, সেতু নির্মাণের পাশাপাশি কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করা হচ্ছে। এ জন্য ‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভুরঙ্গমারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭৪৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কুড়িগ্রাম ও সোনাহাট স্থলবন্দরের সঙ্গে টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয়সাশ্রয়ী সড়ক অবকাঠামো এবং সমন্বিত সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮তম স্থলবন্দর হিসেবে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা এবং পাথর আমদানি হয়ে থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে মেলামাইন এবং সিমেন্ট রফতানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এ স্থলবন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে।

ব্রিটিশ শাসনামলে লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট রেলস্টেশন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার মধ্যে আলোচিত সড়কের অ্যালাইনমেন্ট বরাবর আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলার গোলকগঞ্জ রেলস্টেশন হয়ে গোহাটি পর্যন্ত বঙ্গ-আসাম রেলপথ চালু ছিল। তখন সোনাহাট ছিল আসামের প্রবেশদ্বার।

এমইউএইচ/বিএ

Advertisement