দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি এখন সর্বোচ্চ। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মঙ্গলবার এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের মতো জরুরি বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে বিশ্বকে।
Advertisement
জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইউএনআইডিআইআর) পরিচালক রেনেটা ডন বলেন, যেসব রাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে তারা এগুলোর আধুনিকীকরণের কাজ করছে। যার মধ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক দৃশ্যপটের ক্রমাগত বদল হচ্ছে। বিশেষ করে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত প্রতিযোগিতা এর একটা বড় কারণ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে জেনেভায় সাংবাদিকদেরকে জাতিসংঘের ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, গোটা বিশ্বে নতুন এক ধরনের যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। যার কারণে প্রথাগত যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে তা দিন দিন অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আরও বেশি ব্যাপকতা লাভ করছে এবং বেসরকারিভাবে অনেক সশস্ত্র বাহিনীর উত্থান ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, গত দুই দশকে নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে নানা আলোচনায় হয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্বের ১২২টি দেশ একটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু সেই চুক্তির বেশিরভাগ অংশ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে যার কারণে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি এখন সর্বোচ্চ।
Advertisement
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি মনে করি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পারমাণবিক যুদ্ধের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের কাভারেজে কার্যকরী কোনো আভাস কিংবা বিশ্লেষণ দেখা যায় না। তাছাড়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার, বিশেষ করে কিছু বিষয় বিশ্লেষণ করে আমার মনে হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পারমাণবিক যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ব।’
এসএ/এমএস