১৯৮৭ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। মাদ্রাজের (বর্তমানে চেন্নাই) চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের প্রতিপক্ষ অ্যালান বর্ডারের অস্ট্রেলিয়া। জিওফ মার্শ এবং ডেভিড বুনের হাতে দারুণ শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ানদের!
Advertisement
বুন ৪৯ রানে আউট হলেও জিওফ মার্শ তখন মারকুটে ডিন জোন্সকে নিয়ে নাজেহাল করে ছাড়ছিলেন ভারতীয় বোলারদের। ২৮তম ওভারে মানিন্দর সিংকে মিড অফে লফটেড শট মেরে বসেন ডিন জোন্স। বল বাউন্ডারি পার করলেও আম্পায়ার ডেভিড আর্চার এবং ডিকি বার্ডের কেউই নিশ্চিত ছিলেন না এটা বাউন্ডারি হয়েছিল নাকি ছক্কা!
এ অবস্থায় ভারতীয় ফিল্ডার রবি শাস্ত্রির দেয়া সংকেত অনুযায়ী ডিকি বার্ড বাউন্ডারিটিকে চার হিসেবে স্কোর বোর্ডে উঠানোর আদেশ দেন; কিন্তু বেঁকে বসেন ডিন জোন্স। তার মতে এটা বাউন্ডারি নয়, ওভার বাউন্ডারি’ই ছিল। অসি ইনিংসের শেষে এ সমস্যার ব্যাপারে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন ডিকি বার্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষে অসি কোচ অ্যালান ক্রম্পটন আম্পায়ারদের সাথে কথা বলেন এই সমস্যা নিয়ে। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে দুই এক রান কিন্তু বিশাল ব্যাপার। ডিকি বার্ড তখন এগিয়ে যান ভারতীয় শিবিরে। ভারতীয় দলপতি কপিল দেব নিরাশ করেননি নাছোড়বান্দা অস্ট্রেলিয়ানদের।
Advertisement
সেই বাউন্ডারিকে ওভার বাউন্ডারি বা ছক্কা হিসেবে গ্রহণ করে নেন কপিল! আর তাতে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭০। ব্যাট করতে নেমে ২৬৯ রানে অলআউট হয় ভারত। মাত্র ১ রানে হেরে বসে কপিল দেবরা! ডিন জোন্সের ওই চারটাকে কপিল দেব ছক্কা হিসেবে সম্মতি না দিলে চিদাম্বরমে সেদিন আকাশী-নীলদেরই জয়োৎসব চলতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা যে গল্প লিখে রেখেছিলেন অন্যভাবে! ম্যাচ শেষে কপিলের নির্বিকার, ভাবলেশহীন ভঙ্গিমা গেঁথে যাওয়া আক্ষেপকে লুকিয়ে রাখতে পারেনি, ঠিক যেভাবে পারেনি ভারতের পরাজয় ঠেকাতে!
১৪০ বলে ১১০ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন জিওফ মার্শ। ক্রেইগ ম্যাকডারমট নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন নভজিৎ সিং সিধু।
আরজে/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement