হিমসাগর, ল্যাংড়া বা গোলাপখাস নয় ভারতে আমের রানী হিসেবে মানা হচ্ছে এক ফুটের মতো লম্বা নূরজাহানকে। শুধু আঁটির ওজনই হয় ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম। তবে এর উৎপাদন খুবই সীমিত। তাই গাছে থাকা অবস্থাতেই মানুষ এই আমের অগ্রিম বুকিং দেন। কোনো কোনো সময় একটি আমই বিক্রি হয় ভারতীয় ৫০০ রুপিতে।
Advertisement
আফগানিস্তানের এই প্রজাতির আমগাছ ভারতে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার কাত্থিওয়াড়া অঞ্চলেই দেখা মেলে। তাও খুবই সামান্য পরিমাণে। গত বছর ভারী বর্ষণে এই আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এই বছরের আবহাওয়া এখনও এই আমের জন্য অনুকূল।
ইন্দোর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে কাত্থিওয়াড়াতে এই প্রজাতির আম চাষের বিশেষজ্ঞ ইশাক মশুরি বলেন, ‘এ বার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নূরজাহানের ফলন ভালো হবে আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে নূরজাহান গাছে জানুয়ারি মাস থেকেই মুকুল ধরতে শুরু করে এবং ফল পাকে জুনের শেষদিকে। এবার একটা আমের গড় ওজন ২.৫ কিলোগ্রামের মতো হতে পারে। তবে আগে এই আমের গড় ওজন হতো সাড়ে তিন কেজি থেকে পৌনে পাঁচ কেজি পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক দশকে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের দেরি, অল্প বৃষ্টি, অতি বৃষ্টি এবং আবহাওয়ার অন্যান্য কারণে নূরজাহানের ওজন ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
Advertisement
মশুরী বলেন, এর আগে অনেকবারই কাত্থিওয়াড়ার বাইরে অনেক লোক নূরজাহানের কলম লাগানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু গাছ হয়নি। আমের এই বিশেষ প্রজাতি ঋতুর পরিবর্তনে অত্যধিক সংবেদনশীল। এর প্রচুর যত্ন প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, গত বছর শিলাবৃষ্টিতে নূরজাহানের মুকুল ঝরে যায়। এবার নূরজাহানের ভালো ফলন নিয়ে তারা আশাবাদী।
এমএমজেড/জেআইএম
Advertisement