পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই নতুন নিরাপত্তা সুতা যুক্ত ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট বাজারে আসছে। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Advertisement
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন নোটে উচ্চ মূল্যমানের ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অধিকতর সুদৃঢ় করা এবং নোট জালকরণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে নতুন নিরাপত্তা সুতা সংযোজনপূর্বক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত বিদ্যমান ডিজাইন এবং গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত ১৬০ মিমি ৭০ মিমি পরিমাপের ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট মুদ্রণ করা হয়েছে, যা ২৩ মে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।
নতুন নিরাপত্তা সুতাটি ইতিপূর্বে প্রচলনে থাকা নোটের নিরাপত্তা সুতা অপেক্ষা উন্নততর এবং এর কারিগরি প্রযুক্তিও নতুন, যা জাল প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
নতুন প্রচলিত এ নোটটিতে বিদ্যমান ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের রঙ এবং ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে শুধু নোটের সম্মুখভাগের বাম পাশের নিরাপত্তা সুতাটি পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন এ নিরাপত্তা সুতাটি ৪ মিমি প্রশস্ত এবং নোটে নিরাপত্তা সুতার ৪টি অংশ (উইন্ডো) দৃশ্যমান থাকবে।
Advertisement
নোটটি বিভিন্ন দিকে ঘুরালে বা কাত করলে সুতার রঙ সোনালি থেকে হালকা সবুজ এবং গাঢ় সবুজ দৃশ্যমান হবে। অর্থাৎ আলোর অবস্থান ও কৌণিক ভিন্নতার কারণে সুতাটির রঙ পরিবর্তিত হবে। এছাড়া নিরাপত্তা সুতার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম সোনালি রঙের খচিত রয়েছে ও বাংলায় সাদা রঙের ১০০০ টাকা লেখা রয়েছে, যা কতিপয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার দৃশ্যমান অংশে সম্পূর্ণ ও আংশিক এবং কতিপয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার ভিতরে অবস্থান করবে। নতুন নিরাপত্তা সুতাটি নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সহজে উঠানো সম্ভব হবে না।
নোটের রঙ, ডিজাইন ও অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য (জলছাপ, ওভিআই কালিতে লেখা ‘১০০০’, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ৫টি বিন্দু, মাইক্রোপ্রিন্ট, খসখসে লেখা, লুকানো ছাপা, নোটের পিছনের দিকে ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ ইত্যাদি) অপরিবর্তিত থাকবে। প্রচলনে দেয়া নতুন এই নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ১০০০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোট (শহীদ মিনার ও কার্জন হলের ছবি সম্বলিত হালকা লাল রঙের নোট এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত হালকা বেগুনি রঙের নোট) বৈধ ব্যাংক নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে।
এসআই/জেএইচ/পিআর
Advertisement