শরীয়তপুর পৌরসভার মধ্যপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আহত হওয়ার ১১দিন পরে আনিস চোকদার নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার দিনই উভয়পক্ষ পালং থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।নিহতের পরিবার ও পালং থানা সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত কদম আলী বেপারীর ছেলে এসকান্দার বেপারী ও তার বড় ভাই লীল চান বেপারীর মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে গত ২৬ আগস্ট রাতে লীলচান বেপারী ও তার ছেলেরা এসকান্দার বেপারীকে মারধর করে। এসময় পার্শ্ববর্তী এসকান্দার বেপারীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এতে উভয় পক্ষের এসকান্দার বেপারী, তার স্ত্রী রিনা বেগম, শ্যালক আনিস চোকদার, ইলিয়াস চোকদার, শ্বশুর মান্নান চোকদার, রেনু বেগম, লীল চান বেপারী, জয়নাল বেপারী, হানিফ বেপারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় আনিস চোকদার, রেনু বেগম ও ইলিয়াছ চোকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে গত শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিছ চোকদার (৩৬) মারা যান। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সকালে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন মসজিদ মাঠে জানাযা শেষে মনোহর বাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।এ ব্যাপারে নিহতের ভাই ইলিয়াছ জাগো নিউজকে বলেন, আমার ভগ্নিপতি এসকান্দার বেপারীর সঙ্গে তার বড় ভাই লীল চান বেপারীর জমিজমার বিরোধ নিয়ে মারামারি হয়। আমরা ছাড়াতে গেলে আমাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এতে আমার ভাই আনিছ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পালং মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. আতাউর রহমান বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমার বিরোধের জের ধরে সংর্ঘষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিছ নামের একজন মারা গেছেন। তদন্ত শেষে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।মো. ছগির হোসেন/এমজেড/এমএস
Advertisement