ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্লেসমেন্ট শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন (বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা) করার উদ্যোগ নিলেও তার বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
Advertisement
বিএমবিএ প্লেসমেন্ট শেয়ারে সর্বনিম্ন ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ১ বছর লক-ইন করার প্রস্তাব করেছে। গত ১৩ মে বিএসইসির কাছে লিখিতভাবে এই প্রস্তাব দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রাথমিক গণ প্রস্তাবে (আইপিও) সর্বনিম্ন মূলধন উত্তোলনের পরিমাণ ও প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু নিয়ে গাইডলাইন তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে সংগঠনটি।
গত ২৯ এপ্রিল বিএসইসি থেকে জানানো হয়, প্লেসমেন্টে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদন লাগবে না। আইপিওকালীন সকল শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন থাকবে। লক-ইন প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনা করা হবে।
বিএসইসির এই সিদ্ধান্ত জানার পর প্লেসমেন্ট শেয়ারের লক-ইন সময় কামানোর দাবি জানায় বিএমবিএ। এক্ষেত্রে সংগঠনটির পক্ষ থেকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে প্লেসমেন্ট শেয়ারে সর্বোচ্চ ১ বছরের লক-ইন রয়েছে। কিছু কিছু দেশে এই লক-ইন আরও কম। যেমন ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুরে সর্বোচ্চ ১ বছরের লক-ইন রয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও হংকংয়ে ৬ মাস এবং মিয়ানমারে সর্বোচ্চ ৩ মাসের লক-ইন ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
Advertisement
এদিকে গত ২৯ মে বিএসইসি থেকে জানানো হয়, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা ও বুক বিল্ডিং মেথডে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে। আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং বুক বিল্ডিং মেথডে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে।
বিএসইসির এ সিদ্ধান্তেও পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে বিএমবিএ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে ৫০ কোটি টাকার পরিবর্তে সর্বনিম্ন ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে একটি কোম্পানির আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।
এমএএস/এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement