ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলা যেকোনো ক্রিকেটারের স্বপ্ন। অন্তত একটি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার জন্য হলেও উদগ্রীব হয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা। চার বছর পরপর হওয়া বিশ্বকাপে দেশের সেরা ১১ জনই সুযোগ পান জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়ে মাঠে নামার। যে কারণে এটি খুব একটা সহজ কাজ নয়।
Advertisement
তবে সেরা ১১তে সুযোগ পাওয়ার জন্য আগে জায়গা করে নিতে হয় বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। সে স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে গেলে ধরা হয়, পূরণ হয়েছে প্রাথমিক লক্ষ্য। কিন্তু তিন-তিনবার এ প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ করেও বিশ্বকাপে খেলতে না পারার আক্ষেপটা কেমন হতে পারে?
এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না সবার কাছে। তবে কাছাকাছি উত্তরটা হয়তো দিতে পারবেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ খান। কেনোনা টানা তিনটি বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েও যে বিশ্বকাপে খেলার সৌভাগ্য হচ্ছে না তার।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে মাত্র ২১ বছর বয়সে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই সুযোগ পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। সে আসরে পাকিস্তানের দৌড় থেমেছিল সেমিফাইনালে, খেলেছিল ৮টি ম্যাচ। কিন্তু একটি ম্যাচেও নামা হয়নি বাঁহাতি জুনায়েদের।
Advertisement
বিশ্বকাপের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের যাত্রা শুরু করেন জুনায়েদ। পাকিস্তানের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করে জায়গা পেয়ে যান ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও। কিন্তু সেবার বাঁধ সাধে ইনজুরি। শেষ মুহূর্তে তার জায়গায় নেয়া হয় রাহাত আলীকে। ফলে তখনো বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়নি জুনায়েদের।
সে ঘটনার ৪ বছর পুনরায় দরজায় কড়া নাড়ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র জুনায়েদ খানকে এবারও স্কোয়াডে রেখেছিল পাকিস্তান। কিন্তু হুট করেই অফফর্মের অজুহাতে বিশ্বকাপের ১০ দিন বাকি থাকতে তাকে বাদ দিয়ে ওয়াহাব রিয়াজকে অন্তর্ভুক্ত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় ডোবেন জুনায়েদ। তবে এবার আর চুপ করে থাকেননি তিনি। বোর্ডের বিপক্ষে করেছেন মৌন প্রতিবাদ। নিজের মুখে কালো স্কচটেপ বেঁধে যেনো বুঝাতে চেয়েছেন তার মুখ বন্ধ। তিনি কিছু বলতে পারছেন না। এমন ছবি আপলোড দিয়ে জুনায়েদ লিখেছেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না। সত্য সবসময়ই তেতো।’ তবে পরে ছবিটি মুছে দিয়েছেন তিনি।
এসএএস/জেআইএম
Advertisement