আধ্যাত্মিক প্রশান্তি মহান প্রভুর এক মহা নেয়ামত। তাকওয়াবানরাই এ প্রশান্তি লাভ করে। বিনয়ী ও আল্লাহর ভয়ে এ প্রশান্তি অর্জিত হয়।
Advertisement
রমজান মাসে রোজাদার সব গোনাহ থেকে মুক্ত থাকতে আল্লাহ ভয়ে ভীত হওয়ার মাধ্যমে আত্মিক প্রশান্তি লাভ করা যায়।
রমজানে দুনিয়ার সব পেরেশানি থেকে মুক্ত থাকতে যে দোয়া বেশি বেশি পড়া জরুরি, তাহলো-
اَللَّهُمَّ ارْزُقْنِيْ فِيْهِ طَاعَةَ الْخَاشِعِيْنَ، وَاشْرَحْ فِيْهِ صَدْرِيْ بِإِنَابَةِ الْمُخْبِتِيْنَ، بِأَمَانِكَ يَا أَمَانَ الْخَائِفِيْن
Advertisement
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মারঝুক্বনি ফিহি ত্বাআতাল খাশিইন; ওয়াশরাহ ফিহি সাদরি বিইনাবাতিল মুখবিতিন; বি-আমানিকা ইয়া আমানাল খায়িফিন।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার বিনয়ী বান্দাদের মতো আনুগত্য করার তাওফিক দাও। তোমার আশ্রয় ও হেফাজতের ওসিলায় আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে তোমার ভয়ে ভিরু ও বিনয়ী বান্দাদের অন্তরে পরিণত করে দাও। হে আল্লাহ ভিরুদের আশ্রয়দাতা।’
আরও পড়ুন > পুরো রোজায় যে বিশেষ দোয়াগুলো পড়বেন
রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
Advertisement
সুতরাং রমজানের দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জনের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ঈমানদার রোজাদারের চোখের পানির মূল্য অনেক। ঈমানদার যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জন দিতেই পারে তবে সে পানি মাটিতে পরার আগেই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার ভয় অর্জনের মাধ্যমে আত্মিক প্রশান্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ