খেলাধুলা

অনেক ক্রিকেট হলো, এবার চিত্রকর্মে মন দেয়া যাক : ধোনি

জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন সম্ভাব্য সকল শিরোপা। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু, ২০১১ সালে ‍ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর জিতেছেন ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাও। আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও দেখা যাবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।

Advertisement

তবে এবার আর অধিনায়ক হিসেবে নয়, থাকবেন শুধুই উইকেটরক্ষক হিসেবে। অধিনায়কত্ব ছাড়লেও এখনও ছাড়েননি ক্রিকেট। তাই এবারের বিশ্বকাপে অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ভরসার নাম তিনি।

যদিও অবসরের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি ধোনি। তবুও অনেকেই মনে করছেন এবারের বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ। এবারের আইপিএলের পর ধোনিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, এটাই তার শেষ আইপিএল কিনা? জবাবে ধোনি জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপের পর তা ভেবে দেখবেন।

চারদিকে যখন ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে, তখন তাতে রসদ যোগালেন ধোনি নিজেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম ‍দিয়েছে তার একটি ভিডিও। যেই ভিডিওতে ধোনি জানিয়েছেন অবসরের পর কী করবেন সেই ভাবনার ব্যাপারে। ক্রিকেট ছাড়ার পর চিত্রকর হতে চান ভারতের সাবেক অধিনায়ক।

Advertisement

ভিডিওতে তিনটি ছবি দেখিয়েছেন ধোনি। যেগুলো এঁকেছেন তিনি নিজেই। যার প্রথমটিতে দেখা মেলে প্রাকৃতিক দৃশ্যের। দ্বিতীয়টিতে একটি বিমান এঁকেছেন তিনি। ২০৫০ সালে পৃথিবীতে বিমান কেমন হতে পারে তার সেই ধারণাই ফুটিয়ে তুলেছেন ছবিতে।

আর তৃতীয় ছবিটিতে ধোনি এঁকেছেন নিজেকেই। সেই ছবিতে অবশ্য ভারতীয় জার্সির কালার নীল নয় হলুদ জার্সি পরনে ছিলো তার। যার সাথে সাদৃশ্যে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সির ।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ধোনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই চিত্রকর হতে চাইতাম। তাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনেক ক্রিকেট খেলা হয়েছে, এখন সময় হয়েছে আমি যা হতে চেয়েছিলাম সেটা হওয়ার। যে কারণে আমি ছবি আকাঁ শুরু করেছি। আমার কাছে মনে হয় আমি এতে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’

তবে এতে ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই অবশ্য। কারণ এখনই ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছেন না ধোনি। হয়তো অবসরের পরেই শুরু করবেন চিত্রকর্মে নিজের হাত পাকানো।

Advertisement

Each and every Dhoni fans must Watch this stunning video #WhyDhoniWhy @msdhoni pic.twitter.com/OGUOgpnQHn

— Svasan (@ssvasan91) May 20, 2019

এমএইচবি/এসএএস/এমএস