দেশজুড়ে

কাবিনের টাকা আত্মসাৎ করলেন কাউন্সিলর!

যশোরের চৌগাছায় তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর কাবিনের লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। প্রাপ্য টাকা চাওয়ায় উল্টো হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

সোমবার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চৌগাছা উপজেলা শহরের ডাকবাংলো পাড়ার রুহুল আমিনের মেয়ে উম্মে তাওহিদা আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উম্মে তাওহিদা আমিন বলেন, ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট তেঘরি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামী দেশে ফেরার পর তার ওপর নানামুখী নির্যাতন চলে। একপর্যায়ে গত ১৩ এপ্রিল তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। তালাক প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন চৌগাছা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান। তিনি তাওহিদার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগসাজস করে কাবিনের এক লাখ ১০ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন। সেই টাকা ওই মেয়ে বা তার পরিবারের হাতে দেননি। এখন শুধুমাত্র ১০ হাজার টাকা দিতে চাচ্ছেন।

তাওহিদা অভিযোগ করেন, একজন নারীর বৈধ পাওনা আদায় করে, সেই টাকা নির্লজ্জভাবে পকেটস্থ করেছেন সিদ্দিকুর রহমান। এর আগেও এলাকায় সালিশের নামে অনেকের ডিভোর্সের সময় কাবিনের টাকা আদায় করে আত্মসাত করেন সাবেক এ কাউন্সিলর।

Advertisement

তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক লেবাস ধরে বিচার-সালিশ ও ডিভোর্স মীমাংসার নামে আমাকে দিয়ে ডিভোর্স পেপারে সই করিয়ে নেন। আমার কাবিনের টাকা পকেটস্থ করেন। টাকা চাইলে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উম্মেল তাওহিদা আমিনের মা রুবিনা খাতুন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মেয়েটির ভগ্নিপতি আমাকে অনুরোধ করেছিলেন ডিভোর্স সম্পন্ন করিয়ে দিতে। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে ডিভোর্স হয়েছে। কাবিনের টাকা ছেলে পক্ষ আমার হাতে দিয়েছিল সত্য কিন্তু আমি সেই টাকা মেয়েটির ভগ্নিপতির হাতে দিয়ে দিয়েছি। এখন তারা আমার বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ করছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

‘মেয়েটির ইজ্জতের টাকা আত্মসাৎ করব, সেই রকম মানুষ আমি না। আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।’ তিনি দাবি করেন, ছেলে পক্ষ তিন লাখ ৭২ হাজার টাকা পাবে, চাপ দেয়ায় মেয়েরা এসব অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে।

Advertisement

মিলন রহমান/এমএআর/পিআর