দেশজুড়ে

শ্রমিকলীগ নেতাকে হাতুড়ি পেটা

সাভারের আশুলিয়ায় পরিবহনে চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় দুই পরিবহন শ্রমিক নেতাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ হামলার আগে নিজের সার্বিক নিরাপত্তা চেয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী পরিবহন শ্রমিকলীগ নেতা রাজা মোল্লা (৩৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজা মোল্লা এবং রুবেল শেখ প্রায় কয়েক বছর ধরে আশুলিয়ার বাইপাইলে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। বেশ কিছু দিন ধরে আমির আলী এবং রিয়াজ নামের দুইজন স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিটি পরিবহন থেকে ৬০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করছিল। কিন্তু রাজা এবং রুবেল তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় এ হামলা চালায়।

এ ঘটনার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, আশুলিয়ায় পরিবহনে চাঁদাবাজি নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে কিছু লোক আমির, জিহাদ মোল্লা, রিয়াজ, গউছ ও পান্নুর নেতৃত্বে পুনরায় আবার চাঁদাবাজি শুরু করছে। বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা পরিবহন থেকে চাঁদা নিচ্ছে। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করছে তারা।

Advertisement

নির্যাতনের শিকার রাজা মোল্লা বলেন, কিছুদিন আগে আমির আলি এবং রিয়াজ মোল্লা এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং দৈনিক প্রতিটি গাড়ি থেকে ৬০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে আমি তাদের প্রস্তাবে অপারগতা প্রকাশ করে নিজের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ মে তারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

অভিযুক্তরা হলো- আশুলিয়ার ভাদাইয়ের আমির আলী (৫২), রিয়াজ মোল্লা (৩৫), বাইপাইল এলাকার শাহজাহান মন্ডলের ছেলে শাহীন মন্ডল (৪৫), পলাশবাড়ি এলাকার কালাম (৪২), লিয়াকত আলী (৫০), তামিম মোল্লা (৩২), পলাশবাড়ির কামাল গেট এলাকার সামাল (৩০), ডেন্ডাবরের কাঁঠালতলা এলাকার কামরুল (৪০), তুহিন (৩২), সুলতান (৪০), এসএম শওকত (৪৫), পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার গাউস (৩২), পান্নু (৩৮), জিরাবোর কলেজ রোডের রিয়াদ মোল্লা (৪৫), গাজিরচটের আমির উদ্দিনের ছেলে সোহাগ ও বাইপাইল মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মুন্না (৪৩)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান অভিযুক্ত আমীর আলী ভুঁইয়া বলেন, মারপিটের ঘটনা সত্য, তবে এতে আমার কোনো ইন্ধন নেই। আর আমি কোনো পরিবহনে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। শুধু শুধু এ ঘটনায় আমাকে জড়ানো হয়েছে।

আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, ১৬ মে বাইপাইলে একটি মারামারির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

এএম/পিআর