দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার কিনতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার আছে তাদের কেউই শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও কোম্পানিটির শেয়ারের বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে এমারেল্ড অয়েলের ৮ হাজার ৫০০টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। তবে কেউই এই দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর ১৭ টাকা ৬০ পয়সা দামে ১ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন আসে। এ দামেও কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে দুপুর ১২টার আগেই ১৮ টাকা ৬০ পয়সা দামে ১ হাজার ৯০টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। এই দামেও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার বিক্রেতা শূন্যই থেকে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদান বন্ধ থাকা এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে পুঁজিবাজারের পঁচা কোম্পানির গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হয়েছে কোম্পানিটির। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মার্চের পর গত দুই বছরে কোনো প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি। অথচ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আর্থিক প্রবেদন প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। তালিকাভুক্তির মাত্র দেড় বছরের মাথায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং দুই বছর ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করা কোম্পানিটির শেয়ারের হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বাড়া এবং বিক্রিতে উধাও হয়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, এমারেল্ড অয়েল এমন একটি কোম্পানি যার কোনো ভবিষ্যত নেই। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদনও ঠিক মতো প্রকাশ করছে না। সেই কোম্পানির শেয়ারের হঠাৎ বিক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়া কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারে না। নিশ্চয় এর পিছনে কোনো চক্র আছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৮ দশমিক ৯৪ শতংশ শেয়ার। এমএএস/এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement