রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন চার পুলিশ সদস্য।
Advertisement
সোমবার (২০ মে) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরা হলেন- বনানী থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদুজ্জামান, ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক সোহাগ হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস। ঘটনার সময় তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এদের মধ্য ওয়াহিদুজ্জামান ও ফারুক সেই সময় সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় আহত হন। পরে ফারুককে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেয়া হয়। চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে আসেন তিনি। সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
এনিয়ে এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
Advertisement
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে সেনা কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি মারা যান। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
এছাড়া বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
Advertisement
হলি আর্টিসানে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামে সেনা অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গি হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এছাড়া এ মামলার আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আট জন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
জেএ/এমএমজেড/এমকেএইচ