গাছ থেকে পাড়ার পর ঢাকাসহ সারাদেশে ফলের আড়তে বা বাজারে কেমিক্যাল মেশানো আম আসছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সারাদেশে ফলের বাজারে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মেশানো রোধে র্যাবের ডিজি, আইজিপি ও বিএসটিআইকে ৭ দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে তদারকি করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (২০ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আদালতে রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার।
আদালতের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আম ও ফলে কেমিক্যাল রোধে সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তে নজরদারি করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সকল আমের আড়ত ও বাজারে থাকা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই’র কেমিক্যাল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালক এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করবেন।
Advertisement
মনজিল মোরসেদ জানান, গত ৯ এপ্রিল আদালত দুটি আদেশ দিয়েছিলেন। রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমবাগানগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ নিয়োগ দিতে, যাতে আম পাকানোর জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে। আরেকটা নির্দেশ দিয়েছিলেন চারজন বিবাদীকে যে, ঢাকাসহ সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে তদারকি টিম গঠন করতে। যাতে কেমিক্যাল ব্যবহার করে ফল রক্ষণাবেক্ষণ বা ফল পাকানো না হয়।
এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তারা কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায় আজ (সোমবার) আদালতের দৃষ্টিতে আনা হয় যে, এটি যদি না করা হয় তাহলে দেখা গেল রাজশাহীর আম বাগানে কেমিক্যাল ব্যবহার করল না, কিন্তু ঢাকা বা ফলের বাজার-আড়তে এনে যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তাহলে সুফল পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও জানান, আজ (সোমবার) থেকে সাতদিনের মধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে ফলের বাজার ও আড়তে তদারকি টিম গঠন করে মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে কেউ আম বা ফল পাকাতে বা সংরক্ষণ করতে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারেন। আর যদি কেউ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আদালত আগামী ১৮ জুন এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
এসএইচ/এনএফ/আরএস/এমকেএইচ
Advertisement