প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত সফরে খুলনা যাচ্ছেন আজ। তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডে দুটি বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ বা লার্জ পেট্রোল ক্র্যাফটের (এলপিসি) নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। তার আগমন উপলক্ষে রাস্তাঘাট সংস্কারসহ সাজ সাজ রব পড়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে যুদ্ধজাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।নৌ-বাহিনী সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী রোববার বেলা ১১টায় মংলা বন্দরের অদূরে দিগরাজস্থ নৌ-ঘাঁটিতে বানৌজা খানজাহান আলী, বানৌজা সন্দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়া কমিশনিং করবেন। উল্লিখিত জাহাজগুলো নির্মাণে ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে শিপইয়ার্ডে দুটি লার্জ পেট্রল ক্রাফট নির্মাণ কাজ ও একটি কনটেইনার ভেসেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।খুলনা শিপইয়ার্ডের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইরশাদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যেকটি পেট্রল ক্রাফট নির্মাণে আনুমানিক ৪শ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ৬৪ দশমিক ২ মিটার ও প্রস্থ ৯ মিটার এবং গভীরতা ৪ মিটার। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল। প্রত্যেক যুদ্ধজাহাজে ৭০ জন নাবিক অবস্থান করবেন। সক্রিয় মিশাইল, আধুনিক অস্ত্র রাখার ব্যবস্থা এতে থাকবে।তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তি দিয়ে শক্র পক্ষের অবস্থান, সাবমেরিন অবস্থান ও প্রতিপক্ষের সাবমেরিন আক্রমণ করা সম্ভব হবে। দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নির্মাণ কাজে আড়াইশ শ্রমিক অংশ নেবেন। যুদ্ধজাহাজগুলো নির্মাণে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে চীনের বিশেজ্ঞরা। নৌ-বাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব উল্লিখিত দুটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরীর কয়েকটি সড়ক তড়িঘড়ি করে জোড়াতালি দেয়া হয়েছে। বর্ষার মধ্য কাজ করায় জোড়াতালি উঠেও গেছে কয়েকটি স্থানের। রং করা হয়েছে আইল্যান্ডে। তৈরি করা হয়েছে তোরণ, ব্যানারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে নগরী।আলমগীর হান্নান/বিএ
Advertisement