দেশজুড়ে

ভেঙে গেছে বাঁশের সাঁকো, দুর্ভোগে ৫০ গ্রামের মানুষ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওপর দিয়ে প্রবাহমান লৌহজং নদীর কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল খেয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে গেছে। সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় মির্জাপুর উপজেলাসহ ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার কমপক্ষে ৫০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। রোববার দুপুরে জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে নদীতে ভেসে যায়। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের বহুরিয়া, ভাওড়া, উয়ার্শী ও পৌর এলাকার প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ লৌহজং নদীর ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। এছাড়া ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষ মির্জাপুর সদর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গন্তব্যে চলাচল করে থাকে। এসব গ্রামের মানুষ বর্ষাকালে খেয়ায় এবং গ্রীষ্মকালে নদীর ওপর ওই স্থানে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। খেয়া ও সাঁকো পারাপার হতে সাধারণ মানুষের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে।

গত শনিবার লৌহজং নদীতে জোয়ারের পানি আসে। জোয়ারের পানির সাথে উজান থেকে প্রচুর পানা আসতে থাকে। জোয়ারের পানির স্রোতে রোববার দুপুরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে চুরমার হয়ে নদীতে ভেসে যায়। এদিকে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় সদরসহ প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। নদীর এপার এবং ওপারে শত শত পথচারী আটকা পড়েন।

অন্যদিকে সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় অতিরিক্ত প্রায় চারগুন টাকা ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে উপজেলা চত্বর হয়ে পাহাড়পুর ব্রিজ ও কুতুব বাজার ব্রিজ হয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকাবাসী। তারা দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতাল খেয়াঘাটে একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসলেও অজ্ঞাত কারণে বিজটি নির্মিত হচ্ছে না।

Advertisement

ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় তার ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। সাঁকেটি ভেঙে যাওয়ায় শুধু সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নয়, রোগীরাও এই খেয়াঘাট দিয়ে হাসপাতালে আসতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তিনি নদীর ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।

এস এম এরশাদ/আরএআর/এমকেএইচ