বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা ও বিয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে মিসরে। দেশটিতে তালাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। কর্মসূচির নাম ‘মাওয়াদ্দা’, যার অর্থ ভালোবাসা।
Advertisement
এক হিসাবে দেখা গেছে, মিসরে ২০১৭ সালে তালাকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৮ হাজার। এর আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
কর্মসূচিটি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। এর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে বছরে প্রায় আট লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা।
শুধু তাই নয় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালোবাসা সম্পর্কিত একটি কোর্সও বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
Advertisement
দেশটির সোশাল সলিডারিটি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে মাওয়াদ্দা কর্মসূচিটি। সেখানকার এক কর্মকর্তা আমর ওথম্যান। তিনি বলছিলেন, ‘সমস্যার মূল উৎপাটন করতে চাইলে বিয়ের আগেই শিক্ষা দেয়া সরকার।’
গত জুলাইতে তরুণদের এক সম্মেলনে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছিলেন, তালাক ও বিচ্ছেদের মানে হলো শিশুর তার বাবা-মায়ের মধ্যে মাত্র একজনের সঙ্গ পেয়ে বড় হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট সিসির এ উদ্বেগের কারণে মাওয়াদ্দা কর্মসূচিটি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মসূচির কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি এ কর্মসূচির আওতায় দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে একটি হাসির নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। নাটকটিতে দেখা যায়, স্বামী বাইরে থেকে এসেছেন। এ সময় স্ত্রী ঘর ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। কিন্তু স্বামীর জন্য এ সময় খাবার তৈরি ছিল না। ফলে স্ত্রীর সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলতে থাকেন স্বামী।
Advertisement
এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বামীকে স্ত্রী জানান, তিনি স্কুল থেকে বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন, গিয়েছিলেন চাকরি করতেও। এরপর চুলায় রান্না চড়ানো, এ অবস্থায় কি তাকে দোষ দেয়া ঠিক?
‘স্বামীদেরও ঘরের কাজ করা উচিত।’ এ নাটকটি দেখা উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এমনটি বলছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ২৩ বছর বয়সী জুলিয়া গোসেফ জানান, তিনি তার বন্ধুকে নিয়ে নাটকটি দেখেছেন। অর্থনৈতিক কারণে বিয়ের পর তাকে ও তার স্বামীকে হয়ত কাজ করতে হতে পারে। তখন নাটকের মতোই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা তার।
সূত্র : রয়টার্স
জেডএ/জেআইএম