সাভারের আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও স্টাফদের মারধরের অভিযোগে ৪৮ জন শ্রমিককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শ্রমিকদের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
তবে তারা চাইলেই আগামী ১০ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে আগামীকাল (২০মে) থেকে কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন (খোলা থাকবে) শুরু হবে মর্মে অন্য সকল শ্রমিকদের কাজে যোগদান করতে অনুরোধ করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
রোববার সকালে সাভারের আশুলিয়ার টেঙ্গুরী এলাকার স্প্রিং ট্রেড লি. নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার মূল ফটকে সাময়িক বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের ছবি সংবলিত এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেয়া হয়ে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে সকালে কারখানার ভেতর দুলাল নামে এক শ্রমিক নিটিং ইনচার্জ মহিদুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় অন্যান্য স্টাফরা বাধা দিতে গেলে কারখানার অন্যান্য শ্রমিকরা স্টাফদের মারধর করেন। মারধরের ঘটনায় নিটিং ইনচার্জ ওবায়দুল, নিটিং সুপারভাইজার কাজল, জুয়েল, নজরুল ইসলাম, সানোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, লিটন, সবুজ, আনোয়ার, নিটিং সিনিয়র সুপারভাইজার আলম হোসেন, মনির, আইটি অফিসার অমিত, অ্যাডমিন অফিসার শোভনসহ প্রায় ২০/২৫জন স্টাফ আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জিরানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতাল, নাসির উদ্দিন মেডিকেল, নিউ সুপার ক্লিনিক, সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
Advertisement
স্প্রিং ট্রেড লিমিটেড কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার ইব্রাহিম খলিল সুহায়েল জানান, শুক্রবার ব্যতীত গত চারদিন কারখানা বন্ধ ছিল। আগামীকাল (২০মে) থেকে কারখানা পুনরায় খোলা থাকবে। এছাড়া কারখানার অভ্যন্তরে ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও মারধরের অভিযোগে ইতিমধ্যে ৪৮ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। একই অপরাধে ৪৮ জন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ওই সকল শ্রমিকরা নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন।
শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান জানান, বর্তমানে কারখানার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরএআর/এমএস
Advertisement