ফিচার

এমআরআই এর প্রয়োজনীয়তা

এমআরআই কি?ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং এর সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে এমআরআই। আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানের চেয়ে উন্নত পদ্ধতি এটি। অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বকের মাধ্যমে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে চৌম্বক তরঙ্গ ব্যবহার করে মানবদেহের ভেতরের চিত্র নেয়াই হচ্ছে এমআরআই। এখন পর্যন্ত এর কোন ক্ষতিকারক প্রভাব নেই বলে মনে করা হয়।

Advertisement

প্রয়োগমস্তিষ্ক, চোখ, রক্তনালী, মেরুদন্ড, হাড়, ফুসফুস, হৃদপিন্ড, পেট, তলপেটসহ শরীরের সব অংশেরই এমআরআই করা সম্ভব। ক্যান্সার, টিউমার, রক্তক্ষরণ, সংক্রামণ, স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে এমআরআই-এর মাধ্যমে পাওয়া ছবি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।পদ্ধতিএকটি শক্তিশালী চুম্বক টিউবের মধ্যে রোগীকে প্রবেশ করিয়ে এমআরআই করতে হয়। পদ্ধতিটি খোলা চোখে অনেকটা সিটি স্ক্যানের মতই। তবে সিটি স্ক্যানে সনাক্ত করা যায় নি বা কোনা কারণে সিটি স্ক্যান করা সম্ভব হচ্ছে না, এমন ক্ষেত্রে এমআরআই করা হয়।প্রস্তুতিএমআরআই করার সময় বিশেষ গাউন পরিধান করতে বলা হতে পারে। পরীক্ষাটি করতে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা সময় লাগে। এ সময় রোগীকে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে হয়, কোন ধরনের নড়াচড়া করা যায় না।রোগী বেশি নার্ভাস থাকলে সিডেটিভ জাতীয় ওষুধ দেয়া হতে পারে। এছাড়া ভালো ছবি পেতে কন্ট্রাস্ট ম্যাটেরিয়াল ইনজেকশন হিসেবে দেয়া হতে পারে। এলার্জি থাকলে সেটা আগে থেকেই জানানো উচিত।সতর্কতা১. এমআরআই-এ ব্যবহৃত চুম্বকটি অত্যন্ত শক্তিশালী। যেকোন চৌম্বক পদার্থ বা ধাতুকে আটকে ফেলার ক্ষমতা রাখে এটি। এ কারণে এমআরআই এর সময় অলংকার, হেয়ার ক্লিপ বা অন্য কোন ধরনের ধাতু সঙ্গে রাখা যায় না। শরীরের ভেতরে পেসমেকার বা অন্য কোন ধাতব পদার্থ থাকলে, হাড় জোড়া দিতে কোন ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়ে থাকলে এমআরআই তো  করা যাবেই না, এমনকি এমআরআই কক্ষেও প্রবেশ করা যাবে না।

২. শক্তিশালী চুম্বক বালতি, মপ, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, স্টেথোস্কোপ, কয়েন যেকোন কিছু টেনে নেয়ার ক্ষমতা রাখে।

৩. এছাড়া চুম্বকের কারণে পেস মেকার অকেজো হয়ে যেতে পারে, ম্যাগনেটিক মেমরী যেমন ক্রেডিট কার্ডের তথ্য মুছে যেতে পারে ।

Advertisement

৪. গর্ভবস্থায় এমআরআই-এর কোন প্রভাব আছে কিনা সে সংক্রান্ত তথ্য এখন পর্যন্ত নেই।