খেলাধুলা

বিশ্বকাপে সবচেয়ে স্লো ভেন্যু চেস্টারলি স্ট্রিটের রিভারসাইড

ইংল্যান্ডের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্টেডিয়ামটির নাম রিভারসাইড গ্রাউন্ড। চেস্টারলি স্ট্রিটে অবস্থিত স্টেডিয়ামটি ডারহাম কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড হিসেবেও পরিচিত। এবারের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।

Advertisement

এ তিনটির মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কারই দুটি ম্যাচ। একটাতে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অন্যটাতে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্য ম্যাচে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ভেন্যুগুলো যতটা পুরাতন, ঐতিহাসিক তথা শতবর্ষের পুরনো ঐতিহ্য রয়েছে, তেমনটা নেই রিভারসাইড গ্রাউন্ডের। কারণ, এই স্টেডিয়ামটির প্রতিষ্ঠা ১৯৯৫ সালে। যদিও ১৯৯০ সালে এই স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করা হয়। তবে ১৯৯১ সালে প্রথম এই মাঠে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট মাঠে গড়ায়।

২০০৮ সালে এসে স্টেডিয়ামটি সংস্কারের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। স্টেডিয়ামে স্থায়ীভাবে ফ্লাডলাইট স্থাপন থেকে শুরু করে মাঠের উন্নয়ন, স্বাগতিক ডারহামের স্ট্যান্ড বড় করা, মাঠের চারপাশেই স্থায়ী দর্শকাসন বসানোসহ অনেক পরিকল্পনা করা হয়। যাতে করে অন্তত ২০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারে।

Advertisement

২০১৫ সালে এসে এই পরিকল্পনা পাশ করা হয় এবং ৫৫ মিটার আয়তনের ৬টি ফ্লাড লাইট স্থায়ীভাবে বসানো হয়। ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চলাকালে উত্তর-পূর্ব গ্যালারির ছাদ কিছুটা ভেঙে পড়ে এবং তিনজন দর্শক আহত হয়।

রিভারসাইড গ্রাউন্ডের এর আগেও বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৯৯ সালে তারা চারটি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করেছিল।

রিভারসাইড ডারহামের একটা দুর্নাম রয়েছে কিন্তু। এই মাঠে রান ওঠে না। ডারহামের হোম গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর করেছিল পাকিস্তান। ৬ উইকেটে ২৬১। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এই স্কোর করে ১৯৯৯ সালে জিতেছিল পাকিস্তান। তবে ওইদিন এই মাঠে দারুণ বোলিং অ্যাকশন দেখিয়েছিলেন ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার এবং আবদুল রাজ্জাক। তিনজনই ওইদিন নিয়েছিলেন ৩টি করে উইকেট।

এবার বিশ্বকাপে এই স্টেডিয়ামে দর্শক আসন রাখা হয়েছে ১৪ হাজার। আশপাশের পরিবেশও করে তোলা হয়েছে অসম্ভব সুন্দর, নয়নাভিরাম। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে কি উপহার দেবে রিভারসাইড স্টেডিয়াম, সেটাই দেখার বিষয়।

Advertisement

আইএইচএস/পিআর