কৃষক বাঁচাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, কোনো অজুহাত শুনতে চাই না, কৃষক বাঁচাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Advertisement
রোববার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘কোনো অজুহাত ছাড়া সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ১০৪০ টাকা মন দরে ধান ক্রয়ের’ দাবিতে জাতীয় কৃষক জোট আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
ইনু বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। প্রয়োজনে অর্ধেক দাম আগাম দিয়ে কৃষকের গোলায় ধান রাখা ও সরকারি গুদামে সরবরাহের পর বাকি অর্ধেক দাম পরিশোধ করার পদ্ধতি চালু করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। সরকারি গুদাম খালি না থাকলে বেসরকারি ও ব্যক্তিখাতের গুদাম ভাড়া নিতে হবে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, আপাতত চাল আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। দেশের চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদিত চাল রফতানির ব্যবস্থা করার কথা ভাবতে হবে। সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল, বিদ্যুৎ, শ্যালো মেশিন, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর, ডিপ টিউবওয়েল, ধান মাড়াইযন্ত্রসহ কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতির দাম কমাতে হবে।
Advertisement
জাসদ সভাপতি বলেন, সরকারি গুদামের সম্প্রসারণ ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে কৃষিপণ্য বিপণন সমবায় গড়ে তুলতে হবে। কৃষকের নিজের উৎপাদিত শস্য নিজের রাখার জন্য সংরক্ষণে গোলা তৈরির জন্য ঋণ দিতে হবে।
সমাবেশে যোগ দিয়ে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, ধানের মূল্য নিয়ে মধ্যস্বত্বভোগী, দালাল, ফড়িয়া, চাতাল মালিক, চালকল মালিক, চাল আমদানিকারকসহ বড় বড় ধান-চাল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যেন কোনো কারসাজী করতে না পারে সেজন্য সরকারকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় ইউনিয়ন ভিত্তিক ধান চাষ ও ধান চাষীদের তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরির দাবি জানান তিনি।
জাতীয় কৃষক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক রতন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাসদ কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, সহ-সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, মোহর আলী চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, রোকনুজ্জামান রোকন, শওকত রায়হান, জাতীয় কৃষক জোটের আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
Advertisement
এইউএ/এমবিআর/জেআইএম