ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি জোটের হস্তক্ষেপের ৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে গত মার্চে। এ ৪ বছরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনে ইয়েমেনের প্রায় ১০২৪টি মসজিদ আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Advertisement
২৭তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রদর্শনীতে এসে আনসারুল্লাহ হুথির পররাষ্ট্র বিষয়ক দায়িত্বশীল আদনান ক্বাফলা বলেন, সৌদি জোটের আক্রমণে ধ্বংস হওয়া অনেক মসজিদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবা ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইমামগণ প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি আরো বলেন, তাদের বোমা বিস্ফোরণে অসংখ্য কুরআনের কপিও ধ্বংস হয়ে গেছে। ইয়েমেনে এ আগ্রাসনের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ মারা গেছে।
এ ছাড়াও ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থাপনা, অবকাঠামো, ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল এবং কল-কারখানা ধ্বংস করে এ জোট। এ আগ্রাসনে মসজিদ ও কুরআন ধ্বংস হওয়াকে তিনি সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করছেন আদনান ক্বাফলা।
Advertisement
জাতি সংঘের তথ্য মতে, এ আগ্রাসনের ফলে ২২.২ মিলিয়ন ইয়েমেনি চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। আর ৮.৪ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র ঝুঁকিতে রয়েছে। আর বিগত ১০০ বছরের মধ্যে চরম দুর্ভিক্ষে পড়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন > হজ ও ওমরা বর্জনের ফতোয়া জারি!
উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি জোট ইয়েমেনের ওপর আক্রমণ চালায়। এ জোটের আক্রমণের ইন্ধনদাতা হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের সরাসরি সমর্থনের কথা বলছেন হুথি।
তারা সৌদি আরব জোটকে আধুনিক ও উন্নত মানের অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জামাদি ও পরমার্শ দিয়ে সহায়তা করছেন বলেও দাবি করছেন তারা।
Advertisement
ইয়েমেনে সৌদি জোটের আক্রমণের ফলে মসজিদ ও কুরআন ধ্বংস ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য চরম আঘাত ও বেদনাদায়ক। ইয়েমেনে আক্রমণ বন্ধে বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের কার্যকর ভূমিকা নেয়া উচিত। তাতে রক্ষা পাবে মসজিদ, কুরআনসহ অন্যান্য স্থাপনা ও নিরীহ মানুষের জীবন।
এমএমএস/জেআইএম