বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটের সব ‘প্রথমে’র সঙ্গেই যেনো মিশে আছে তার নাম। দেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ, প্রথম ওয়ানডে জয়, বিশ্বকাপের প্রথম জয়, প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং ম্যানেজার হিসেবে প্রথম শিরোপা জয়ের সঙ্গীও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
Advertisement
১৯৮৬ সালের ৩১ মে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে ইমরান খানের পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন যে ১১ জন, সে দলে ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। বলার অপেক্ষা রাখে না ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের অন্যতম স্বার্থক রূপকারও তিনি।
এরপর ১৯৯৮ সালের ১৭ মে ভারতের হায়দরাবাদে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জয়ের ম্যাচেও ছিলেন ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নান্নু। সে ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে জোড়া চারের মারে ১৪ রানের ইনিংস।
১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপ দলে শুরুতে জায়গা না পেলেও, সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি ও বোর্ডের অভ্যন্তরে রীতিমতো শীর্ষকর্তাদের হস্তক্ষেপে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত হন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তবে সে বিশ্বকাপে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে যে ১১ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেমেছিলেন প্রথম ম্যাচে, সে একাদশে ছিলেন না দেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রায় সব প্রথমের সঙ্গী নান্নু।
Advertisement
তবে পরে বিশ্বকাপের মাঠে নিজের মেধা-প্রজ্ঞার সাক্ষর রাখেন নান্নু। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়কও নান্নু। ছয় নম্বরে নেমে ৬ চারের মারে খেলেন ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার এ ব্যাটিংয়েই বিশ্বকাপের প্রথম জয়টি পায় বাংলাদেশ
আর এবার দেশের প্রথম শিরোপা জয়ের মিশনেও দলের সঙ্গেই ছিলেন এ দেশবরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। ভাবছেন নান্নু তো এখন আর খেলেন না, তাহলে কীভাবে ছিলেন প্রথম শিরোপা জয়ের মিশনে?
প্লেয়িং মেম্বার হিসেবে ছিলেন না ঠিক, কিন্তু ডাবলিনে হওয়া তিন জাতি সিরিজে তিনি যে ছিলেন টাইগার দলের ম্যানেজার। পদবিটা বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক, তবে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের সফরে তাকে পাঠানো হয়েছিল ম্যানেজার করে।
একেই বলে ভাগ্য! ম্যানেজার হয়ে না গেলে তো আর সব প্রথমের সঙ্গী হতে পারতেন না নান্নু।
Advertisement
এআরবি/এসএএস/জেআইএম