বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে মোটেও আগ্রহী নন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। কারণটা নিশ্চয়ই কারো অজানা থাকার কথা নয়। গেল বছর স্ত্রী হাসিন খানের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ও এর আগে টানা ইনজুরি ক্যারিয়ারটাই শেষ করে দিতে বসেছিল এ ক্রিকেটারের।
Advertisement
তবে সেগুলো এখন অতীত ডানহাতি এ পেসারের কাছে। সামনেই বিশ্বকাপ। তাই শামির সমস্ত ভাবনা জুড়েই এখন ওই বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে বসতে যাওয়া দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আগামী ২৩ মে লন্ডনের উদ্দেশ্য রওনা হবে টিম ইন্ডিয়া। সেই বহরে থাকছেন শামিও।
এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ক্ষুরধার ধরা হচ্ছে ভারতীয় বোলিং লাইনআপকে। জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ শামি এই ত্রি-ফলাতে যে এবার প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা ভুগবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
তবে বলা হচ্ছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ পরিচিতি পাবে ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে। ফ্ল্যাট উইকেটে বোলারদের জন্য থাকবে না কিছুই , শুধু ব্যাটসম্যানদের চার-ছক্কার ফুলঝুরির দেখাই মিলবে। তিনশ-সাড়ে তিনশ দলীয় সংগ্রহ হবে অহরহ।
Advertisement
তবু এসব ভাবাচ্ছে না শামিকে। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রীতিমতো ব্যাটসম্যানদের হুমকিই দিয়ে রাখলেন শামি। বিশ্বকাপের সম্ভাব্য উইকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘ইংল্যান্ডের ফ্ল্যাট উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়েছে। তাই একজন বোলারকে কন্ডিশন অনুযায়ী লাইন এবং লেন্থের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
শামি আরও বলেন, ‘আমার নিজের গতি এবং সুইং আছে ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করার। এ কারণে আমি অতটা চিন্তিত নই। আমি বিশ্বাস করি, ওই কন্ডিশনে আমার বোলিং খাপ খাবে। অফস্টাম্পের বাইরে বলের লেট মুভমেন্ট আশা করি বেশ কার্যকর হবে।’
সুইংয়ের মতো শামির গতিও একসময় ভোগাত ব্যাটসম্যানদের। যে কাজটা ভারতের হয়ে বর্তমানে করছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তবে বারবার ইনজুরিতে পড়ে ফিটনেস হারিয়ে সেই ধার হারিয়ে ফেলেছিলেন শামি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের পেস বোলিংয় লাইনআপকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
এরপরই ইনজুরির ধাক্কায় ২ বছরের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান। তবে শারীরিক ও পারিবারিক দুটো সমস্যাকে পাশ কাটিয়েই ফের ক্রিকেটে ফিরেছেন শামি। কঠোর পরিশ্রমের পর দলে ফের নিয়মিত হওয়া নিয়ে ২৯ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘আমি আমার খেলা নিয়ে মাঠের বাইরে কাজ করতাম। আমার লক্ষ্যের প্রতি আমি অবিচল ছিলাম যাতে জাতীয় দলের নজর কাড়তে পারি। আমি ফিরেছি আরও বেশি শক্তিশালী, গতিশীল ও ফিট হয়ে।’
Advertisement
বিশ্বকাপে নিজের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী শামি। ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো হুমকি দিয়ে রেখে তিনি বলেন, ‘আমার ইয়র্কারগুলো আগের মতোই কার্যকর। বিশ্বকাপে যা আমি প্রচুর ব্যবহার করবো। আমি আরও দ্রুত গতিতে বল করার পাশাপাশি ইন-সুইং করানোর চেষ্টা করবো। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে আমাকে মারা খুব সহজ হবে না।’
এ না হয় গেল নতুন বলের ভাবনা, বল পুরনো হয়ে গেলে কীভাবে ব্যাটসম্যানদের সামলাবেন? শামির অকপট উত্তর, ‘পুরনো বলে রিভার্স সুইংও দেখাবো। এটা সবসময় আমার শক্তির জায়গা।’
এসএস/এসএএস/জেআইএম