‘আন্টি, বেশি বাছাবাছি কইরেন না, ঈদের বাজার জমে উঠেছে। মাল এক নাম্বার, এক দাম ৪০০ টাকা।’ শনিবার রাত পৌনে ৮টায় চাঁদনী চক মার্কেটের কাছে ওভারব্রিজের নিচে ফুটপাতে এক ভ্যানিটি ব্যাগ বিক্রেতা এক তরুণীকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলছিলেন।
Advertisement
একটু খেয়াল করতেই দেখা গেল দু’দিন আগেও যেখানে ক্রেতার অভাবে ইফতারের পর অলস সময় কাটাতে হতো সেই দোকানের এখন ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটছে। দোকানের সামনে তখনও ৫/৭ জন তরুণী ভ্যানিটি ব্যাগ দেখার জন্য পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন।শনিবার (১৮ মে) রাতে সরেজমিন নিউমার্কেট, গাউছিয়া চাঁদনী চক, হকার্স মার্কেট ও নুরজাহান মার্কেট ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়। ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার।
প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। স্ত্রী-সন্তান পরিবারসহ অনেকেই মার্কেট ঘুরে ঘুরে কাপড়, জুতা, ব্যাগ, কসমেটিকস ইত্যাদি দেখছেন। পছন্দ হলে কিনে নিচ্ছেন কেউবা আবার দাম সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন।গাউছিয়া মার্কেটের একটি দোকানের আলম রায়হান জানান, ১৫ রোজার আগেই ক্রেতাদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। যতই দিন যাবে ততই ভিড় বাড়বে। রোজার শুরু থেকে টুকটাক ক্রেতা আসলেও বিক্রি ছিল না। কিন্তু এখন যারা আসছেন তারা বেশিরভাগই কিনছেন। সারা বছর এই রোজার ঈদের জন্য অপেক্ষা করেন তারা।
গত কয়েকদিন যাবত পুলিশ ফুটপাতের দোকান বসতে না দিলেও আজ ঠিকই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফুটপাতের দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। তবে পুলিশের গাড়ি দেখা মাত্রই মালপত্র গুছিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন।রাজধানী কলাবাগানের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন দম্পতি নিয়ে গাউছিয়া মার্কেটে একটি দোকানে শাড়ি দেখছিলেন। তিনি বলেন, এ মার্কেটে বৈচিত্র্যময় শাড়ির সমারোহ রয়েছে। দাম একটু বেশি হলেও এ মার্কেট থেকেই শাড়ি কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
Advertisement
এমইউ/আরএস