দেশজুড়ে

বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখতে যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে থাকবেন রসিক মেয়র

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, বিড়ি শিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত। রংপুরে লাখ লাখ চাষী ও ব্যবসায়ীরা জড়িত। হঠাৎ করে এ শিল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখতে যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে আমি একত্মতা ঘোষণা করছি।

Advertisement

শনিবার (১৮ মে) রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য বিড়ি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার শ্রমিক ভাইদের রুটি-রুজি এই বিড়ি শিল্প। যেকোনো মূল্যে এই শিল্প রক্ষা করা হবে। আপনারা যারা এ শিল্পের মালিক তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, শ্রমিক ভাই-বোনদের মজুরি বাড়াবেন।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা। এছাড়া বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামিম ইসলাম, শ্রমিক নেতা আমিরুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে হাজার হাজার বিড়ি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত করের চাপে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বেকার হয়ে পড়ছে লাখ লাখ বিড়ি শ্রমিক। কাজ না পেয়ে অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, সরকার ধূমপান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরাও চাই ধূমপান বন্ধ হোক। কিন্তু ধূমপান বন্ধের নামে সিগারেটকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। বিড়ি বন্ধ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হতে দেব না। প্রয়োজনে রাজপথে আন্দোলনে নামব।

এ সময় বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- বিড়ির ওপর অর্পিত সকল কর প্রত্যাহার, ভারতের ন্যায় এ শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা, বিদেশি সিগারেট বাংলাদেশে বন্ধ করা, বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা বন্ধ করা, বিড়ি যেন কম মূল্যে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা বজায় রাখা।

আরএস

Advertisement